Skip to main content

বাংলাদেশ: নির্যাতনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসুন

অধিকার সংগঠনগুলো ভিকটিমদের জন্য আন্তর্জাতিক দিবসে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে

Rapid Action Battalion (RAB) officials stand alert inside a truck in front of Central Shaheed Minar in Dhaka, Bangladesh on February 20, 2021. © 2021 Sipa via AP Images

(নিউইয়র্ক) - বাংলাদেশ সরকার তার নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন ও অন্যায় আচরনের ব্যাপক অভিযোগ মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে, নির্যাতনের শিকার ভিকটিমদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসে দশটি অধিকার সংগঠন বলেছে। সংগঠনগুলি জাতিসংঘ এবং সংশ্লিষ্ট সরকারকে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

নাগরিক আইন প্রয়োগকারী হিসাবে সজ্জিত পুলিশ এবং সেনা উভয়ই সহ বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিশ্বাসযোগ্যভাবে আটক সন্দেহভাজনদের উপর নির্যাতন  অন্যায় আচরনের অভিযোগে অভিযুক্ত। এই জাতীয় কার্যকলাপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: লোহার রড, বেল্ট এবং লাঠি দিয়ে মারধর করা; তাদের কানে এবং যৌন অঙ্গগুলিতে বৈদ্যুতিক শক ব্যবহার করা; ওয়াটারবোর্ডিং বা পানিতে চুবিয়ে শাস্তি দেয়া; আটকদের ছাদ থেকে ঝুলিয়ে মারধর করা; হাঁটুতে গুলি করে দেওয়া সহ, তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে পঙ্গু বা অঙ্গহানি করার জন্য গুলি করা; উচ্চতর সংগীত এবং শব্দ তরঙ্গে দীর্ঘায়িতভাবে রেখে দেয়া; ব্যঙ্গাত্মক ফাঁসি কার্যকর করা; এবং তাদের জোর করে নগ্নতায় বশীভূত করা। কয়েকশো লোক জোরপূর্বক গুম এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।

"বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মী, আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো এবং জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের সবাই  শুধুমাত্র অস্বীকার করা ও মিথ্যা বলার জন্য হেফাজতে থাকা অবস্থায় অন্যায় আচরণ সহ নিরাপত্তা বাহিনীর অপব্যবহার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন," বলেছেন ব্র্যাড অ্যাডামস, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া পরিচালক। "বিগত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তবে প্রতিটি সরকার এই ধরনের নৃশংসতা বৃদ্ধি করেছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে অপব্যবহার ও দায়মুক্তির সংস্কৃতিকে উৎসাহ দিয়ে এসেছে।"

নির্যাতন বিরোধী জাতিসংঘের কমিটি ২০১৯ সালের জুলাই মাসে নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশনের অধীনে দেশটির পর্যালোচনা চলাকালীন নির্যাতন প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়ে কড়া প্রস্তাবনা দেওয়ার পরে ২০২০ সালের আগস্টে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় ফলো আপ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এই সুপারিশগুলিতে সর্বোচ্চ স্তরে অফিসিয়াল বিবৃতি অন্তর্ভুক্ত ছিল যে নির্যাতন সহ্য করা হবে না এবং আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অগ্রহণযোগ্য আটকের অবসান ঘটাতে হবে।

কমিটি বলেছিল যে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের দ্বারা নির্যাতন বা অন্যায় ব্যবহারের সকল অভিযোগের তদন্ত, ক্ষতিগ্রস্থ ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার জন্য আইন প্রণয়ন এবং সকল আটক স্থানের তালিকা প্রকাশের জন্য সরকারের উচিত একটি স্বাধীন প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করা।

পর্যালোচনার পরে, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা পুলিশকে "রাষ্ট্রের মধ্যে আরও একটি রাষ্ট্র” হিসাবে বর্ণনা করেছে, উল্লেখ করেছে যে "সাধারণভাবে একজন ব্যক্তি এমন ধারণা পেয়ে থাকে যে পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি দায় মুক্তি এবং শূন্য জবাবদিহিতার ব্যবস্থা পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছিল।”

এটি বাস্তবায়নের সাত বছর পরে, ২০২০ সালে, বাংলাদেশের একটি আদালত ২০১৩ সালের নির্যাতন ও আটকাবস্থায় মৃত্যু (প্রতিরোধ) আইনের আওতায় প্রথম দোষী সাব্যস্ত করার আদেশ দেয়। মানবাধিকার কর্মীরা আশা প্রকাশ করেছিল যে এটি নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতনের কয়েক ডজন নথিভুক্ত প্রতিবেদনের তদন্ত এবং জবাবদিহিতার পথ প্রশস্ত করবে। তবে, ২০২০ সালের দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনার পরে, ভুক্তভোগীর পরিবার গণমাধ্যমকে বলেছে যে তারা আইন প্রয়োগকারী কর্তৃক মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বারবার চাপ, হুমকির সম্মুখীন এবং ঘুষ নেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছে। তদুপরি, বাংলাদেশ পুলিশ ২০১৩ সালের নির্যাতন আইনটি সংশোধন করার জন্য সরকারকে বার বার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যে কেউ কেউ আশঙ্কা করেছিলেন যে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী নির্যাতনের অবসান ঘটানোর বিষয়ে সতর্ক হয়ে থাকতে পারে।

কোভিড – ১৯ মহামারী নিয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ফেসবুক সমালোচনাপূর্ণ পোস্ট করার জন্য প্রায় নয় মাস প্রি-ট্রায়াল-এ আটক থাকার পরে লেখক মোশতাক আহমেদ ২০২১ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যু জনমনে বিক্ষোভের সৃষ্টি করে। আহমেদ কবির কিশোর, একজন কার্টুনিস্ট, যিনি র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যদের দ্বারা আহমদের সাথে আটকাবস্থায় ছিলেন, তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করে কিশোর আইনগতভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং নির্যাতনের অভিযোগের বর্ণনা দিয়ে আহমদ জানান যে তিনি কি ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন যখন তাদেরকে অবৈধভাবে আটক করে রাখা হয়েছিল।

“মুশতাক প্রস্রাবের তীব্র গন্ধ পাচ্ছিলেন,কিশোর বলেছিলেনকিছুদিন আগে তাকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং প্রচুর মারধর করা হয়েছিল। তাকে যৌনাঙ্গে বিদ্যুতায়িত শক দেয়া হয়েছিল। মেঝেতে সংবাদপত্র পড়ে ছিল এবং আমি মুশতাককে নিজেকে পরিষ্কার করার জন্য সেটি ব্যবহার করতে বলেছিলাম। তিনি তার অন্তর্বাসটি খুলে ফেললেন এবং ফেলে দিলেন—আমি দেখেছি এটিতে মলমূত্র রয়েছিল। তিনি অত্যাচারের সময়ে নিজের প্যান্টে মলত্যাগ করেছিলেন, তিনি আমাকে বলেছিলেন।

হেফাজতে আহমেদের মৃত্যুর বিষয়ে ১৩ জন কূটনীতিক যখন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং তাঁর মৃত্যুর "সম্পূর্ণ পরিস্থিতিতে দ্রুত, স্বচ্ছ এবং স্বাধীন তদন্তের জন্য " আহ্বান জানান, তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.কে. আবদুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, "এই ধরণের উপদ্রব প্রচার করা বন্ধ করুন।" আহমেদের মৃত্যুর বিষয়ে সরকার এখনও একটি স্বতন্ত্র এবং স্বচ্ছ তদন্ত করতে পারেনি।

অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলি নির্যাতন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, এবং জোরপূর্বক নিখোঁজ গুম হওয়ার বিষয়ে, বিশেষ করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা এবং র‍্যাব কর্তৃক, যারা (র‍্যাব) নির্যাতন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং জোর করে গুম হওয়ার অপরাধে কুখ্যাত একটি আধাসামরিক বাহিনী— এদের অপরাধ সমূহ নথিভুক্ত করেছে এবং র‍্যাবকে ভেঙ্গে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশলেট নিশ্চিত করে বলেছেন যে “র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের দ্বারা নির্যাতন ও অন্যায় ব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের একটি উদ্বেগের বিষয়।"

২০২০ সালের অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটররা একটি দ্বিপক্ষীয় চিঠি প্রকাশ করেন, গ্লোবাল ম্যাগনেস্কি হিউম্যান রাইটস একাউন্টেবিলিটি আইন সহ সকল প্রযোজ্য কর্তৃপক্ষের অধীনে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা এবং জোরপূর্বক গুমের জন্য র‍্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দ্রুত এই পদক্ষেপগুলি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত এবং যুক্তরাজ্য, ইইউ এবং কানাডা সহ একই জাতীয় সরকার সমূহের নিষেধাজ্ঞাগুলির সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিচার ব্যবস্থায় যোগদান করা উচিত।

নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে "যে কর্মীরা র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকে প্রায়শই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের চাকরীর জন্য মোতায়েন করা হয়েছে" এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মারাত্মক নির্যাতনের অভিযোগের ক্ষেত্রে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। বাংলাদেশ, বিশ্বে শান্তিরক্ষী সেনাবাহিনীর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় অবদানকারী একটি দেশ, তবুও এই সৈন্যদের নিজ দেশে থাকা অবস্থায় অবমাননাকর আচরণগুলি প্রশ্রয় দেয়া যে হয় না তা স্পষ্টভাবে বিবেচনা না করেই বিদেশের মিশনে তাদের পাঠানো নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে নজরদারি করা হচ্ছে না, সংগঠনগুলো বলেছে।

"জাতিসংঘের উচিত বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যাক্তিদের পাশে দাঁড়ানো এবং এই বিষয়টি নিশ্চিত করে যে অবমাননাকর নিরাপত্তা বাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মোতায়েনের মাধ্যমে তাদের খ্যাতিকে "ব্লু-ওয়াশ" করতে না পারে,” এশিয়ান মানবাধিকার কমিশন বা এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের লিয়াজো বা যোগাযোগ বিষয়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেছেন। "জাতিসংঘের শান্তি অপারেশন বিভাগ- এর বাংলাদেশে তাদের মানবাধিকার নিরীক্ষণ করার নীতি কিভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে শুরু করা উচিত।"

জাতিসংঘের উচিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে তার সম্পর্কের বিষয়ে একটি বিস্তৃত পর্যালোচনা করা। এ ধরনের তদন্তের ফলাফল বিচারাধীন রেখে জাতিসংঘ মিশন ও উচ্চ পদের পোস্টে বাংলাদেশি সেনা মোতায়েন বাড়ানোর বিষয়ে সমস্ত আলোচনা স্থগিত করে রাখা উচিত বলেও জানিয়েছে সংগঠনগুলি। যে সকল কমান্ডাররা তাদের কমান্ডের অধিনের থাকা ব্যাক্তিদের দ্বারা নির্যাতন প্রতিরোধ এবং শাস্তি প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে তারা সহ যে কোনও ইউনিট, সৈনিক এবং কমান্ডারদের সাথে জাতিসংঘের পিস অপারেশন ডিপার্টমেন্টের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে যারা গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী হিসাবে চিহ্নিত। 

এছাড়াও, জাতিসংঘের পিস অপারেশন ডিপার্টমেন্টের উচিত ২০১২ সালের জাতিসংঘের সকল কর্মীদের মানবাধিকার স্ক্রিনিং এর উপর করা নীতির অধীনে র‍্যাবের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকার ইতিহাস সহ সকল কর্মীদের জন্য বর্ধিত তদারকি পরিচালনা করা উচিত, যার জন্য যাচাই করা প্রয়োজন যে জাতিসংঘে দায়িত্ব পালনকারী কোনও ব্যক্তি কোনও "আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাকারী আইন লঙ্ঘন"- এ জড়িত নয়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি)- এর উচিত বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুম হওয়া, নির্যাতন এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার বিষয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা।

"বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নির্যাতনের অভিযোগগুলো গোপন করে আসছে," বলেছেন রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস-এর আন্তর্জাতিক অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড লিটিগেশন এর সহ-সভাপতি অ্যাঞ্জেলিটা বায়েন্স। "সরকারকে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলির সুপারিশ মেনে নেওয়া উচিত এবং এর নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতনের সমাধান করা উচিত।"

এই যৌথ বিবৃতিটি যারা অনুমোদিত করেছেনঃ

১। এশিয়ান ফেডারেশন এগেইন্সট ইনভলানটারি ডিজাপিয়ারেন্স (এএফএডি)

২। এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া)

৩। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি)

৪, এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রিইলেকশন (এএনএফআরইএল)

৫।  সিভিকাসঃ ওয়ার্ল্ড এলাইয়্যান্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন

৬। ইলেওস জাস্টিস, মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়

৭। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)

৮। ইন্টারনেশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ)

৯। ওয়ার্ল্ড অরগ্যানাইজেশন এগেইন্সট টর্চার (ওএমসিটি)

১০। রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস

Your tax deductible gift can help stop human rights violations and save lives around the world.

Region / Country