- সৌদি আরবের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল দ্বারা অর্থায়ন করা বা এর সাথে যুক্ত উচ্চ পর্যায়ের গিগা-প্রকল্প সহ কর্মসংস্থান সেক্টর এবং ভৌগলিক অঞ্চল জুড়ে সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিকরা ব্যাপক নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে, যার মধ্যে কিছু জোরপূর্বক শ্রমের পরিস্থিতি থাকতে পারে।
- আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা সৌদি আরবকে ২০৩৪ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপের আয়োজক হিসাবে শ্রমের অপব্যবহার প্রতিরোধে যথাযথ পরিশ্রম এবং বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন ছাড়াই নিশ্চিত করতে প্রস্তুত হয়েছে।
- সৌদি কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে অভিবাসী শ্রমিকদের মারাত্মক নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষার উদ্দেশ্যে সৌদি আইনের ব্যাপক প্রয়োগের ফাঁকফোঁকরগুলি জরুরী ভিত্তিতে নজর দেয়া প্রয়োজন কারণ তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার উপকরণগুলির অধীনে দেশের বাধ্যবাধকতাগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়ে থাকে।
(বৈরুত, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪) – সৌদি আরবের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল দ্বারা অর্থায়ন করা বা এর সাথে যুক্ত উচ্চ পর্যায়ের গিগা-প্রকল্প সহ কর্মসংস্থান সেক্টর এবং ভৌগলিক অঞ্চল জুড়ে সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিকরা ব্যাপক নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আজ এক প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছে। আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা সৌদি আরবকে ২০৩৪ সালের ডিসেম্বর ১১ তারিখে পুরুষদের বিশ্বকাপের আয়োজক হিসাবে শ্রমের অপব্যবহার প্রতিরোধে যথাযথ পরিশ্রম এবং বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন ছাড়াই নিশ্চিত করতে প্রস্তুত হয়েছে।
৭৯-পৃষ্ঠার প্রতিবেদন, "'ডাই ফার্স্ট, এন্ড আই উইল পে ইউ লেটার’: সৌদি আরব’স ‘গিগা প্রজেক্টস’ বিল্ট অন ওয়াইডস্প্রেড লেবার এবিউজেস,” যার অর্থ, “'আগে মৃত্যুবরণ করুন, আমি আপনাকে পরে অর্থ প্রদান করব': সৌদি আরবের 'গিগা-প্রকল্প' ব্যাপক শ্রম অপব্যবহারের উপর নির্মিত," অভিবাসী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক নির্যাতনের নথি এটি, যার মধ্যে অত্যধিক মাত্রায় নিয়োগের ফি, ব্যাপক মজুরি চুরি, প্রচণ্ড গরম থেকে অপর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা, চাকরি স্থানান্তরের বিধিনিষেধ এবং তদন্তহীন শ্রমিকের মৃত্যু সহ কিছু জোড়পূর্বক শ্রমের পরিস্থিতি থাকতে পারে। সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)দ্বারা অর্থায়ন করা হাই-প্রোফাইল প্রকল্পগুলি সহ এই অপব্যবহারগুলি প্রতিরোধ বা প্রতিকার করতে পদ্ধতিগতভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
“সৌদি আরবের বহু বিলিয়ন ডলারের গিগা-প্রকল্পের নির্মাণের জন্য হিউম্যান ইঞ্জিন হল অভিবাসী কর্মীবাহিনী, যারা সৌদি আরবে ব্যাপকভাবে অধিকার লঙ্ঘনের সম্মুখীন হচ্ছে কোন রকমের আশ্রয় ছাড়া” বলেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর মধ্যপ্রাচ্যের ডেপুটি ডিরেক্টর মাইকেল পেজ। "আইনত বাধ্যতামূলক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি ছাড়াই ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের আয়োজন করতে নির্ধারন করার জন্য ফিফার ভুয়া মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অভিবাসী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের উপর বিরূপ আন্তঃপ্রজন্মের প্রভাব সহ অকল্পনীয়ভাবে চরম এক মানবিক মূল্য দিতে হবে।"
প্রতিবেদনটি কর্মসংস্থান সেক্টর এবং অঞ্চল জুড়ে ১৫৫ টিরও বেশি সাবেক এবং বর্তমান অভিবাসী শ্রমিক এবং মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিকরা অভিবাসন চক্রের প্রতিটি পদক্ষেপে ব্যাপক শ্রম নির্যাতনের সম্মুখীন হয়ে থাকে, যা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ খুঁজে পেয়েছে। অপব্যবহার শুরু হয় যখন কোম্পানিগুলি কর্মী নিয়োগ করে এবং অবৈধভাবে তাদের অতিরিক্ত হারে নিয়োগের ফি দিতে বাধ্য করে এবং সৌদি আরবে নিয়োগকর্তারা চুক্তিতে নির্ধারিত চাকরির শর্তাবলী এবং সুবিধাগুলি মানতে ব্যর্থ হয়ে তাদের চাকুরীর চুক্তি লঙ্ঘন করে।
“প্রথম দুই মাসের জন্য আমাকে সময়মতো বেতন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারপরে কখনোই দেওয়া হয়নি,” এক অভিবাসী শ্রমিক বলেন। "যখন আমি আমার ম্যানেজারকে বেতন প্রদানের জন্য প্রশ্ন করি, তিনি উত্তর দিতেন: ‘আগে মৃত্যুবরণ করো, আমি তোমাকে পরে বেতন দিব।’”
সৌদি আরবের ২০২১ সালের লেবার রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ বা শ্রম সংস্কার উদ্যোগ যা অভিবাসী কর্মীদের জন্য একটি ভিন্ন নিয়োগকর্তার কাছে স্থানান্তর করা এবং অবাধে দেশ ত্যাগ করা সহজ করার দাবি থাকা সত্ত্বেও, অভিবাসী শ্রমিকরা চলাফেরার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে থাকে যা অত্যাচারী নিয়োগকর্তারা প্রায়শই নিজেদের কাজে অপব্যবহার করে থাকে।
“আমাকে বলা হয়েছিল বহির্গমন পারমিট নিতে, দেশ ছেড়ে অন্য কোম্পানিতে চলে যেতে,” একজন কর্মী বলেছিলেন। “তারা [নিয়োগকর্তা] বলেছিলেন: ‘আমরা যদি আপনাকে স্পনসরশিপ স্থানান্তর করতে দেই, তবে আমাদের অন্যদের ক্ষেত্রেও তা করতে দিতে হবে।’”
অন্য নিয়োগকর্তারা শ্রমিকদের তাদের নিয়োগকর্তাকে অর্থ প্রদান করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে যদি তারা একটি নতুন চাকরিতে চলে যায়। যে শ্রমিকরা চাকরি পরিবর্তন করতে পেরেছিল তাদেরও তাদের সাবেক নিয়োগকর্তাদের অর্থ প্রদান করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমে পিআইএফ-এর অর্থায়নে নির্মাণাধীন এনইওএম (NEOM) প্রজেক্ট নামে একটি গিগা-প্রকল্পে নিযুক্ত একজন কর্মী বলেছেন- তিনি চাকরি পরিবর্তনের জন্য তার আগের নিয়োগকর্তাকে ১২,০০০ রিয়াল (প্রায় ইউএসডি ৩,২০০) এরও বেশি অর্থ প্রদান করেছেন।
অনেক অভিবাসী শ্রমিকেরও প্রায়শই অনলাইন কর্মসংস্থান চুক্তি ব্যবস্থাপনা পরিষেবাগুলি সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় সচেতনতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব থাকে। তারা সৌদি আরবের শ্রম আইনের সূক্ষ্মতার অধীনে তাদের অধিকারগুলি বোঝার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যায় এবং সৌদি কর্তৃপক্ষ বা তাদের নিজ নিজ দেশগুলির দূতাবাসগুলির মাধ্যমে সহযোগিতার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে না।
গিগা-প্রজেক্ট গুলি প্রায়শই প্রকল্পগুলির জন্য অবাস্তব, আঁটসাঁট সময়সীমা আরোপ করে, যা কর্মীদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে থাকে। অনেক কর্মী দূতাবাস বা সুপ্রতিষ্ঠিত অভিবাসী ডায়াস্পোরা গ্রুপের মতো সহায়তা পাবার নেটওয়ার্ক থেকেও বিচ্ছিন্ন থাকে। একজন এনইওএম-ভিত্তিক কর্মী বলেছেন: “আমরা কোথাও নেই। দূতাবাস অনেক দূরে অবস্থিত। যদি কিছু ভুল হয়ে যায়, আমরা কোথাও যেতে পারি না। ভয়ও আছে। আমরা কোথায় যাব? আমরা কাকে বলব? ”
সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা, ১৩.৪ মিলিয়ন, পরিকল্পিত মেগা- এবং গিগা-প্রকল্পগুলির সাথে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে যার জন্য ব্যাপক ভাবে নতুন নির্মাণের প্রয়োজন হবে।
নিয়োগকর্তারা কাজের সাইট গুলিতে কর্মীদেরকে গুরুতর বিপদের সম্মুখীন করে দিয়ে থাকে, যার মধ্যে বাইরে কর্মত থাকা কর্মীদের জন্য চরম সূর্যের তাপের সাথে সম্পর্কিত অপব্যবহারগুলি রয়েছে যা জলবায়ু পরিবর্তন ত্বরান্বিত হওয়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এনইওএম প্রকল্পে নিযুক্ত একজন কর্মী বলেছেন: “প্রতিদিন, এক বা দুইজন শ্রমিক সকাল-সন্ধ্যা বেলায় অজ্ঞান হয়ে যায়। মাঝে মাঝে কাজের পথে। মাঝে মাঝে কাজ করার সময়।” চরম তাপের সাথে যুক্ত অপব্যবহারগুলি অঙ্গ ব্যর্থতা সহ অভিবাসী কর্মীদের দীর্ঘস্থায়ী এবং সম্ভাব্য প্রাণঘাতী স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রাপ্ত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত সৌদি আরবে ৮৮৪ জন বাংলাদেশি মারা গেছে, যার মধ্যে ৮০ শতাংশ মৃত্যুর কারণ “প্রাকৃতিক কারণে।” সৌদি আরবে অনেক অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর ব্যখ্যা নেই, তদন্তবিহীন, এবং ক্ষতিপূরণহীন, যা মৃত অভিবাসী শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ছাড়াই রেখে দেয়া হয়ে থাকে।
একজন মৃত ভারতীয় প্লাম্বারের স্ত্রী হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন: “তার কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না। তার মৃত্যুর ছাড়পত্রে যেভাবে তাকে স্বাভাবিক মৃত্যুতে মারা গেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে তা আমরা বিশ্বাস করি না। মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হয়নি।” তিনি আরও বলেছেন: “তিনি পারিবারিক খরচ, শিক্ষা এবং বকেয়া ঋণ মেটানোর জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৫৩৬ ইউএস ডলার করে পাঠাতেন। তার মৃত্যুর পর আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।”
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সাতজন সাবেক অভিবাসী শ্রমিকের সাথেও কথা বলেছে যারা আগে সৌদি আরবে কাজ করেছিল এবং যারা এখন শেষ পর্যায়ের রেনাল রোগে আক্রান্ত ডায়ালাইসিস রোগী। একজন রোগীর স্ত্রী হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন যে তার স্বামীর ডায়ালাইসিসের ব্যয়ভার নেপালি সরকার বহন করেছে, কিন্তু তিনি গত ছয় মাসে ঔষুধ বা তাদের বাচ্চাদের স্কুলের ফি পরিশোধ করতে পারছেন না। তিনি বলেছিলেন: “[সৌদি] কোম্পানি তার [রিটার্ন] টিকেট বুক করার বাইরে কোনো সহায়তা দেয়নি।”
যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষের শ্রম অধিকার সহ মানবাধিকার রক্ষার প্রাথমিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে, ব্যবসারও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দায়িত্ব রয়েছে মানবাধিকারকে সম্মান করা এবং অপব্যবহারের সাথে জড়িত হওয়া থেকে এড়িয়ে চলা। অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষার উদ্দেশ্যে সৌদি আইনের ব্যাপক প্রয়োগের ফাঁক ফোঁকর গুলিতে জরুরী ভিত্তিতে নজর দেয়া প্রয়োজন।
যেহেতু এই প্রতিবেদনটি নথিভুক্ত করেছে যে, যদিও অ-সম্মতির সমাধান করা দরকার, শুধুমাত্র সম্মতি প্রদান করাই সৌদি আরবের প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট নয়, যেখানে অনেক আইন নিজেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর অধীনে দেশের বাধ্যবাধকতাগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে।
সৌদি আরবের ২০৩৪ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপের বিড ফিফার কাছে জমা দেওয়া দেশটিতে প্রচলিত অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো পর্যাপ্ত ভাবে রিপোর্ট করতে এবং মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং ১১টি নতুন এবং চারটি সংস্কার করা স্টেডিয়াম সহ ১৮৫,০০০ এর বেশি নতুন হোটেল রুম, উল্লেখযোগ্য বিমানবন্দর, সড়ক, রেল এবং বাস নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের ব্যাপক নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্ত্বেও এই অপব্যবহারগুলি মোকাবেলা করা হবে এমন কোন দৃঢ় আশ্বাস দিতেও ব্যর্থ হয়েছে।
২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাতে(ILO) গ্লোবাল ট্রেড ইউনিয়ন বিল্ডিং এবং উড ওয়ার্কার্স ইন্টারন্যাশনাল(বিডব্লিউআই) এর দ্বারা দায়ের করা সৌদি আরবের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক শ্রমের অভিযোগ সহ অত্যন্ত ভয়ানক ধরনের মানবাধিকার ঝুঁকিগুলিকে উপেক্ষা করার জন্য ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সৌদি আরবে মেগা- এবং গিগা-প্রকল্পগুলির সাথে যুক্ত বিস্তৃত এবং গুরুতর শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের ফলাফল এবং ডকুমেন্টেশন শেয়ার করে ৪ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে ফিফাকে চিঠি লিখেছিল। ফিফা কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
“সৌদি কর্তৃপক্ষ, যারা তাদের জঘন্য মানবাধিকারের সুনাম লঙ্ঘন করতে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করছে, তারা যে শ্রম সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরও ভালভাবে পরিবেশন করা হবে কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে, ” পেজ বলেছেন।