Skip to main content

বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার দমিয়ে রাখার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করেছে

সরকার ফেসবুককে একটি সরাসরি ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আক্রমণ, জনসাধারণকে সহিংসভাবে উস্কে দিতে পারে এমন পরিস্থিতির মোকাবেলা করা সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় যে রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত একটি কঠোর পদক্ষেপ জনসাধারণকে পরিচালনা করার পরিবর্তে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। 

ঠিক এমনটি ঘটেছে বাংলাদেশে। সম্প্রতি যখন ব্লগার এবং সমাজকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, তখন স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার রক্ষা করার পরিবর্তে, সরকার বারবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না করার সতর্কবার্তা জানায়। কর্তৃপক্ষ প্রায়ই প্রিন্ট ও ডিজিটাল মিডিয়ার মত প্রকাশের অধিকারকে খর্ব করে।

ফেসবুকে, 'মজা লসে'র একজন পরিচালকের বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী প্রচারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। 'মজা লস' একটি বিতর্কিত পাতা যা মাঝে মাঝে রাজনীতিবিদের নিয়ে বিদ্রুপ করে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ ভুলভাবে দাবি করেন যে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং আরও বলেন যে বিদ্রুপাত্মকতা শালীনতার সীমানা অতিক্রম করেছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে, দিলিপ রায় নামক একজন ছাত্র ও সমাজকর্মীকে, একটি বিতর্কিত কয়লা খনি সমর্থনের সিদ্ধান্ত সমালোচনা করে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী প্রতি "অপমানজনক মন্তব্য" করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

এখন মনে হচ্ছে যে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ অবরোধের মাধ্যম হিসেবে সরাসরি ফেসবুককে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য একটি পৃথক নিয়মাবলী প্রণয়নের জন্য ফেসবুকের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন যা দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং ইতিহাস রক্ষা এবং ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি আঘাত নিয়ন্ত্রণ করবে। এ প্রস্তাব অনুযায়ী একটি বিভাগকে নিয়োগ করা হবে সরকারের অনুরোধ অনুযায়ী মতামত নিয়ন্ত্রন করা এবং সরকারি কাগজপত্রের মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত করার জন্য যাতে তারা অপরাধীদের অভিযুক্ত করতে পারে। কর্তৃপক্ষের মতে, এই প্রস্তাবগুলি সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয়।

২০১৩ সাল থেকে ফেসবুক স্থানীয় আইনগুলির সাথে সম্মতি জানিয়ে তাদের প্রচার সীমিত করেছে। ২০১৫ সালে, সরকার ২২ দিনের জন্য ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ব্যবহার বন্ধ রাখার মধ্যবর্তীকালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারি কর্তৃপক্ষের সাথে দেখা করেছেন। সেই বছর ফেসবুক ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে প্রথমবারের মত কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করেছিল।

মার্ক জুকারবার্গ বিবৃতিতে বলেছেনঃ "আমরা আমাদের সম্প্রদায়কে অপ্রয়োজনীয় বা অযাযিত সরকারি হস্তক্ষেপ থেকে রক্ষা করতে লড়াই করি”। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত নির্দেশাবলী স্থানীয় আইনগুলির ঊর্ধ্বে যেতে পারে এবং তাদের অধিকারের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারে যা ফেসবুকের দাবী অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যাক্তির স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকারকে আঘাত করবে। এখন তা ফেসবুকের উপর নির্ভর করবে যে তারা সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য লড়াই করবে এবং অবশ্যই তা স্বচ্ছভাবে করতে হবে।  

GIVING TUESDAY MATCH EXTENDED:

Did you miss Giving Tuesday? Our special 3X match has been EXTENDED through Friday at midnight. Your gift will now go three times further to help HRW investigate violations, expose what's happening on the ground and push for change.
Region / Country