(লন্ডন) - হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আজ তাদের প্রকাশিত2013ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট (2013 World Report)-এজানিয়েছে যে, সরকার কর্তৃক রাজনৈতিক ওসুশীল সমাজের কার্যক্ষেত্রের স্থান সংকীর্ণ করে দেওয়া, বিভিন্ন সময় আইন লঙ্ঘন করার পরও নিরাপত্তা বাহিনীকে আইনী ব্যবস্থার মুখোমুখি না করে অব্যাহতভাবে রক্ষা করা, ঘটে যাওয়া বিভিন্ন গুম ও হত্যার তদন্ত করতে ব্যর্থ হওয়া এবং নন-গভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশানগুলোকে তদারকি করার জন্যে কঠোর নিয়ম প্রনয়ন করার কারণে2012সালেবাংলাদেশ (Bangladesh)-এ মানবাধিকারপরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
665পৃষ্ঠার রিপোর্টে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (human rights watch)'আরব স্প্রিঙ্গের' পরবর্তী ঘটনাবলী পর্যালোচনা সহ গত বছরের 90'র অধিক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল্যায়ন তুলে ধরেছে।
বাংলাদেশ (Bangladesh)-এ বিচারবর্হিভুত হত্যাকান্ডকে 'ক্রসফায়ার' হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চর্চা অব্যাহত থেকেছে, যেমন অব্যাহত থেকেছে বিরোধী দলের সদস্য ও রাজনৈতিক কর্মীদের অন্তর্ধানের ঘটনাগুলিও। একজন বিশিষ্ট শ্রমিক নেতাকে গুম ও পরবর্তীতে হত্যা করা হয় এবং অন্যান্য শ্রমিক কর্মীদের হুমকি প্রদান করা হয়। তা ছাড়া সুশীল সমাজের সদস্য এবং মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন প্রকারের চাপ ও নজরদারী বর্ধিত হওয়ার কথা।
"এই সরকার ক্ষমতায় এসেছিল বিচারবর্হিভুত হত্যাকান্ড বন্ধ করার অঙ্গীকার নিয়ে। কর্মী ও সমালোচকদের জন্য একটি উদার পরিবেশ ও একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করার আশা দেখিয়েছিল তারা", বলেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch)-এর এশিয়া পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস(Brad Adams)।"তবে বর্তমানে সরকার এইসব অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আদৌ কিছু করছে বলে মনে হচ্ছে না।"
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch)-এর মতে বাংলাদেশ (Bangladesh)-এ নারীর উপর সহিংসতা রোধের জন্য শক্ত আইন থাকলেও আইনের বাস্তবায়ন নেই বললেই চলে। নারীর উপর সহিংসতা যেমন ধর্ষণ, যৌতুক সংক্রান্ত নিপীড়ন এবং অন্যান্য ধরনের লোকচক্ষুর আড়ালে ঘরের ভেতর ঘটে যাওয়া নিপীড়ন, এসিড সন্ত্রাস, 'ফতোয়া'র নামে বেআইনি শাস্তি প্রদান এবং যৌন অপরাধ ঘটেই চলেছে। বৈষম্যমূলক পারিবারিক আইন অপরিবর্তিত থাকায় বহু নারী বিবাহ-বিচ্ছেদ ও তালাকের সময় অসহায় হয়ে পড়ে এবং নি:স্বহয়ে যাওয়ার ভয়ে নিপীড়নমূলক বিবাহে আটকে থাকে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch)জানিয়েছে লাভজনক ট্যানারি কারখানাগুলোর ভেতর ভয়ানক অবস্থার কারণে শ্রমিকদের শারীরিক অবস্থা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যার ফলে তাদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী সাস্থ্যজনিত সমস্যার সাথে মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য বিধি তৈরিরপ্রচেষ্টাতেও মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
2012সালে সুশীল সমাজের উপর চাপ প্রয়োগ ও নজরদারী বেড়ে যাওয়া ছিল বছরের সবচেয়ে চিন্তাজনক প্রবণতা। নন-গভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশান সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন হুমকি, হেনস্থা ও ভীতিপ্রদর্শন বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। খোলাখুলিভাবে সরকারের প্রতি সমালোচনামূলক অবস্থান অবলম্বন করেছে এমন কিছু মানবাধিকার সংগঠন তাদের নিবন্ধন সম্পর্কিত জটিলতা এবং সরকার কর্তৃক তাদের প্রকল্পের জন্য তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। বেশ কিছু নেতৃস্থানীয় শ্রম অধিকার কর্মীদের অপরাধমূলক অভিযোগের মুখোমুখি করা হয়েছে যার মধ্যে কিছু কিছু অপরাধের সম্ভাব্য শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড।
সরকার একটি বিদেশী অনুদান নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিলের খসড়া প্রস্তুত করছে বলে জানা গেছে। এই আইনটির মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদেশী অর্থসাহায্য প্রাপ্তির বিদ্যমান অনির্ধারিত ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে বৈধতা প্রদান করা হবে। বিলটি আইন আকারে সংসদে এখনো পাশ করা না হলেও এনজিও (NGO)-গুলির মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে তার বিভিন্ন বিধানসমূহ কার্যক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে এনজিও (NGO)এফেয়ার্স ব্যুরো থাকা স্বত্ত্বেও 2012সালের আগস্ট মাসে সরকার এনজিওগুলির কার্যক্রম তদারকির জন্য একটি নতুন কমিশন গঠনের পরিকল্পনা প্রকাশ করে। এখানে উল্লেখ্য বিভিন্ন এনজিও (NGO),এনজিও (NGO)এফেয়ার্স ব্যুরোকে অব্যাহত দুর্নীতির জন্য অভিযুক্ত করে আসছে।
2012সালে কুখ্যাত রাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (Rapid Action Battalion)(RAB)কর্তৃক বিচারবর্হিভুত হত্যাকান্ড কমে আসাকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch)স্বাগত জানালেও, বলার অপেক্ষা রাখে না যে, হত্যাকান্ডের সংখ্যা তারপরও বেশি ছিল। যদিও2012সালে রাব (RAB)তার সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তকারী ইউনিট গঠন করে, সেই ইউনিটের গৃহীত সিদ্ধান্ত অথবা আদৌ কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে কিনা জানা যায়নি। স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অভ্যন্তরীণ তদন্তকারী ইউনিট সাধারণত শৃঙ্খলাজনিত অপরাধ বিচার করে থাকে। ঠিক এই কারণেই বিচারবর্হিভুত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকান্ড ও গুমের মত গুরুতর অপরাধগুলো তদন্তের বাইরেই থেকে যায়।
অ্যাডামস (Adams)বলেন,"আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এমন দাবী সরকার ও রাব (RAB)কর্মকর্তারা করলেও এখন পর্যন্ত একজনরাব (RAB)সদস্য বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকেও রাব (RAB)-এর করা স্পষ্টভাবে-নথিভুক্ত অপহরণ, অত্যাচার ও হত্যার কারণে দায়ী করা হয়নি।"তিনি আরো বলেন,"এমনকি স্কুল ছাত্র লিমন (Limon)-কে গুলি করার মত ব্যাপকভাবে প্রচারিত মামলাতেও কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়নি বরং কর্তৃপক্ষ লিমন (Limon)- এর বিরুদ্ধে ভ্রান্ত মামলা দায়ের করেছে।"
2009সালে বিদ্রোহ করার জন্য অভিযুক্ত বাংলাদেশ রাইফেলস(Bangladesh Rifles)-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে ত্রুটিপূর্ণ বিচারগুলি 2012সালেও চলেছে। এবছরের জুলাই মাসে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch)নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু এবং তার সাথে গণবিচারগুলিতে প্রাপ্য প্রক্রিয়াগত অধিকারে গুরুতর লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগগুলি রিপোর্টআকারে তুলে ধরে। সরকার সেইসব অভিযোগ তদন্ত না করেই সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাথে একটি সভায় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রিপোর্টটি না পড়েই সকল অভিযোগ অস্বীকার করে। বহু অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনী সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা হলেও এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ সম্পর্কে অবগত না থাকলেও সরকার দাবী করে যে প্রায়800অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা বিডিআর (BDR)বিদ্রোহ মামলা আইনসিদ্ধ উপায়েই পরিচালিত হচ্ছে। এইসব মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড পেতে পারেন।
1971সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ অপরাধসমূহ বিচারের লক্ষ্যে গঠিত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল(আইসিটি (ICT)) নামে পরিচিত একটি সম্পূর্ণভাবে দেশীয় আদালতের মামলার কার্যক্রমে নিরপেক্ষ বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় মানের ব্যাপক ঘাটতি চোখে পড়েছে। 2008সালে বর্তমান সরকারের একটি প্রধান নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল দীর্ঘকাল ধরে বিলম্বিত এই গুলি সম্পন্ন করা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch)-ও বহুদিন ধরে 1971সালে মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে আসছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US)সরকার এবং বহু আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে নানা প্রস্তাব আসা সত্ত্বেও এই বিচারের মূল আইন ও কার্যবিধিতে উপস্থিত গুরুতর ত্রুটিগুলোকে আমলে নেওয়া হয়নি।
2012সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে (ICT)অনুষ্ঠিত সকল মামলা ছিল বাদী ও বিবাদীপক্ষের নানা অভিযোগে পরিপূর্ণ। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে সাক্ষীর উপর ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ দায়ের করে। এমনই একটি গুরুতর ঘটনায় বাদী পক্ষ জানায় যে, তার পক্ষে কিছু সংখ্যক সাক্ষীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা সম্ভব নয়। বাদী পক্ষ এই পরিস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালের কাছে ঐসব সাক্ষীদের পূর্বে লিখিত বক্তব্য তথ্যপ্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করার অনুরোধ করে। এদের মধ্যে কিছু সাক্ষী যে আসলে সেইফ হাউসে অবস্থান করছিলেন এবং ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে জবানবন্দী প্রদান করতেও সক্ষম ছিলেন, সরকারী সেইফ হাউসের লগ-বইতে উপস্থিত এমন প্রমাণ বিবাদী পক্ষ ট্রাইব্যুনালের সামনে তুলে ধরে। নভেম্বর 5তারিখে এমন একটি মামলায় বিবাদী পক্ষ তাদের সাক্ষী সুখ রঞ্জন বালী (Shukho Ranjan Bali)-কে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে, পুলিশ তাদের একটি ভ্যানে করে আদালতের গেট থেকে বালীকে গুম করে।
2012সালের ডিসেম্বর মাসে দি ইকনমিস্ট (The Economist)পত্রিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (ICT)চেয়ারম্যান এবং ব্রাসেলসে অবস্থানরত এক উপদেষ্টার মধ্যেকার ইমেইল ও স্কাইপ কথোপকথন থেকে হ্যাকিং এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যাদি তাদের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করে। এইসব কথোপকথনে চেয়ারম্যান, সরকার, বাদী পক্ষ এবং ব্রাসেলসে অবস্থান করা উপদেষ্টার মধ্যে বহুদিন ধরে চলতে থাকা নিষিদ্ধ যোগাযোগ প্রকাশ পায়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের (ICT)কার্যক্রমে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপও ধরা পড়ে। এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেন। তবে এই পদত্যাগের ফলে ট্রাইব্যুনালে এমন একটি বেঞ্চ তৈরী হয় যেখানে তিনজন বিচারকের মধ্যে একজনও অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ তথ্য-প্রমাণ শোনেননি। এইসব কারণে দায়ের করা পুনর্বিচারের চারটি আবেদন ট্রাইব্যুনাল প্রত্যাখ্যান করে নিজের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।
"অভিযোগকৃত বিদ্রোহী ও অভিযোগকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অত্যন্ত সমস্যাপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে এবং বিচারকদের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা এবং সর্বোপরি বিচার প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখাদিয়েছে", বলেন অ্যাডামস (Adams)।"এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ব্যাপার কারণ এর ফলে গুরুতর অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী ব্যক্তিরা প্রহসনমূলক বিচারের শিকার হচ্ছেন বলে মনে হতে পারে। কোনো পর্যাপ্ত তদন্ত না করেই সকল অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে সরকার দেখিয়েছে যে, তারা ভোট পাওয়ার জন্য যতটা মনোযোগী, আইনের শাসন বাস্তবায়নের জন্য ততটা মনোযোগী নয়।"
2012সালের জুন মাসে পার্শ্ববর্তী দেশ বার্মা (Burma)-রআরাকান (Arakan)রাজ্যে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলে সরকার তার আন্তর্জাতিক আইনী বাধ্যবাধকতা অগ্রাহ্য করে। সরকার শরণার্থীদের নৌকায় তুলে দিয়ে তাদেরকে বার্মা (Burma)র উদ্দেশ্যে ফেরতপাঠিয়ে দেয় এই বলে যে, নিরাপদ আশ্রয়স্থল প্রদান করার ব্যাপারে তাদের প্রতি সরকারের কোনো দায়দায়িত্ব নেই। এছাড়াও সরকার কক্স বাজারে (Cox’s Bazaar)পূর্বে থেকেই অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে কাজ করা এনজিও (NGO)-দের কার্যক্রমেও হস্তক্ষেপ করে।
"মনে হচ্ছে যে সরকার সকল সমালোচক, এমনকি সুপরিচিত এনজিও(NGO) - গুলোকেও, দেশকে প্রকৃত অর্থেই উন্নত করতে আগ্রহী সংগঠন হিসেবে না দেখেসরকার পতনের একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশীদার হিসেবে দেখছে", জানান অ্যাডামস (Adams)।"তুমি হয় আমার পক্ষে না হয় বিপক্ষে' - এমন মনোভাবই দেখা গিয়েছে যুদ্ধাপরাধ ও বিদ্রোহ বিচার থেকে শুরু করে কারখানায় আগুন ও শ্রম অধিকারের মত বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়ায়।"