Skip to main content

বাংলাদেশঃ “গুম হয়ে যাওয়া ব্যাক্তিদের” ঘরে ফিরিয়ে আনুন

জোরপূর্বক গুমের তদন্ত করুন; দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসুন

(নিউ ইয়র্ক)- বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত পরিবারগুলোর উপর উৎপীড়ন  বন্ধ করা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা গুম হয়ে যাওয়া তাদের প্রিয় মানুষের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আজ বলেছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশে ভুক্তভুগীদের ৮৬ টি মামলা নথিভুক্ত করেছে যারা শেখ হাসিনা- নের্তৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সাল থেকে জোড়পূর্বক গুম হয়েছে, এবং যারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর দ্বারা নিয়মিত এই জোড়পূর্বক গুমের ঘটনাকে বার বার অস্বীকার করে চলেছে।

“বাংলাদেশ সরকারের উচিত জোড়পূর্বক গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তি যারা এখনও নিখোঁজ রয়েছে তাদের অবস্থান সম্পর্কে একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তকে স্বাগত জানানোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন করা,” হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন। “সম্মুখে অগ্রসর হবার একমাত্র পথ হচ্ছে ভুক্তভুগীদের পরিবারগুলোর কষ্টের অবসান ঘটানো  এবং দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা।

জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দাতা এবং ব্যাবসায়িক অংশীদারদের উচিত বাংলাদেশ নিরাপত্তা বাহিনীর সিনিয়র সদস্যদের জবাবদিহি করার আওতায় নিয়ে আসাএবং ভবিষ্যতে অপব্যবহার রোধে সহায়তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সরকার গত এক দশক ধরে দেখিয়েছে যে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের দ্বারা বারবার প্রকাশ করা উদ্বেগগুলিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার ব্যাপারে তার কোন আগ্রহ নেই

বাংলাদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, কুখ্যাতভাবে নির্যাতনকারী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অন্য যে কোনো ইউনিটের তুলনায় বাংলাদেশে বেশি সংখ্যক জোড়পূর্বক গুমের জন্য দায়ী। ২০২০ সালের  অক্টোবর মাসে, যুক্তরাষ্ট্রের ১০ জন সিনেটর বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড, জোরপূর্বক গুম এবং নির্যাতনের জন্য শীর্ষ র‌্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে একটি দ্বিদলীয় চিঠি প্রকাশ করেছেন।

২০২১ সালের আগষ্ট মাসে গর্নিকা ৩৭ চেম্বার আইন অফিসগুলো ব্রিটিশ ফরেইন কমনওইয়েলথ এবং ডেভেলপমেন্ট অফিসে একটি আনুষ্ঠানিক জমা দিয়েছিল যেখানে গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস নিষেধাজ্ঞা আইন ২০২০-এর অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন র‌্যাব অফিসারের জন্য নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইইউ (European Union) এবং একই ধরনের মানবাধিকার নিষেধাজ্ঞা প্রচলনের শাসন ব্যবস্থার আওতায় থাকা সরকারগুলির চলমান জোরপূর্বক গুম এবং অন্যান্য গুরুতর অবমাননার জন্য দায়ী শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের উচিত অবিলম্বে র‌্যাব কর্মকর্তাদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং জাতিসংঘের পতাকা তলে নিয়োজিতদের উপর তদারকি বাড়িয়ে দেয়া যেন নিশ্চিত হয় যে মানবাধিকার তদারকি নীতি বাংলাদেশেও কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।


“নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক জোরপূর্বক গুমের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের মিথ্যা কথা কেউ বিশ্বাস করে না,” অ্যাডামস বলেছেন। "এখন প্রশ্ন হল দাতা গোষ্ঠী এবং জাতিসংঘ এটি সম্পর্কে কী করতে যাচ্ছে।"


 

Your tax deductible gift can help stop human rights violations and save lives around the world.

Region / Country