(জেনেভা) - জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের উচিত বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়ার বিষয়ে একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের পরিচালনা করা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আজ তাদের প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে বলেছে। জাতিসংঘের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দাতা এবং বাণিজ্যিক অংশীদারদের উচিত বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সিনিয়র সদস্যদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা, জোরপূর্বক গুম বন্ধ করা এবং ভবিষ্যতে অপব্যবহার রোধ করা।
৫৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন, "’যেখানে কোন সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে না’: বাংলাদেশে এক দশক ধরে জোরপূর্বক ভাবে গুম,"(সারসংক্ষেপ ও সুপারিশসমূহ বাংলায় পেতে) খুঁজে পেয়েছে যে, বাংলাদেশ নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নিয়মিতভাবে জোরপূর্বক গুম হওয়ার বিশ্বাসযোগ্য এবং ধারাবাহিক প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও, দায়মুক্তির সংস্কৃতি মোকাবেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দাতা সরকারগুলি, জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন, এবং সুশীল সমাজের আহ্বান উপেক্ষা করেছে। প্রতিবেদনের পাশাপাশি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি ওয়েব পেইজ তৈরি করেছে যা বাংলাদেশে ভুক্তভোগীর ঘটনা ট্র্যাকিং এবং প্রোফাইলিং করেছে যারা জোরপূর্বক গুম হয়েছিলেন এবং যারা নিখোঁজ রয়েছেন।
"আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ভিকটিমদের উপহাস করে এবং নিয়মিতভাবে তদন্তে বাধা দিয়ে থাকে, যা স্পষ্ট করে দেয় যে সরকারের তার নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা জোরপূর্বক গুমের অর্থপূর্ন মোকাবিলা করার কোন উদ্দেশ্য নেই," বলেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস। "যেহেতু সরকারের সমালোচকরা জোরপূর্বক গুম হয়ে যাওয়ার ভয়ে থাকেন, এবং গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারগুলি সরকারের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাওয়ার খুব কমই আশা করে থাকে, তাই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের বিষয়ে তদন্ত শুরু করা উচিত।"
জুলাই ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ এর মধ্যে পরিচালনা করা ভুক্তভোগী, তাদের পরিবারের সদস্য এবং জোরপূর্বক গুম হয়ে যাওয়ার সাক্ষীদের সঙ্গে ১১৫ টির বেশি সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করা এই প্রতিবেদনটি খুঁজে পেয়েছে যে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক গুমের তদন্ত করতে এবং দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা প্রত্যাখান করে আসছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরও পেয়েছে যে কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক গুম – এবং জোরপূর্বক ভাবে গুম হওয়ার হুমকি – সমালোচকদের নীরব করার জন্য, বাকস্বাধীনতাকে ভয় দেখানো জন্য ব্যবহার করে থাকে।
যদিও বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত ফাঁসিসহ দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, বিশেষ করে জোরপূর্বক গুম হয়ে যাওয়া এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০২১ সালের ৩০শে আগস্ট জোরপূর্বক ভাবে গুমের শিকারদের আন্তর্জাতিক দিবসের (ইন্টারন্যাশনাল ডে অব দি ভিকটিমস অব এনফোর্সড ডিজ্যাপিয়ার্যান্স) আগে সংশ্লিষ্ট সরকার এবং জাতিসংঘের উচিত বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সম্পর্কের যাচাই – বাছাই করে জোরপূর্বক ভাবে গুমের শিকারদের পাশে দাঁড়ানো, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের স্পষ্ট করা উচিত যে নিজ দেশে সেনাবাহিনীর অপব্যবহারের ঢাল হিসেবে জাতিসংঘ কাজ করতে রাজি নয়। পিস অপারেশন ডিপার্টমেন্টের উচিত কমান্ডারদের নেতৃত্বের অধীনে ব্যক্তিদের দ্বারা অপব্যবহার প্রতিরোধ বা শাস্তি দিতে ব্যর্থ হওয়া কমান্ডার সহ, মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য দায়ী যে কোন ইউনিট এবং কমান্ডারদের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা।
বাংলাদেশের মানবাধিকার দলগুলোর মতে, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রায় ৬০০ মানুষ নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক জোরপূর্বক ভাবে গুম হয়েছে। যদিও কয়েকজন ভুক্তভোগীকে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের গোপন আটকের পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে অথবা আদালতে হাজির করা হয়েছে, অন্যরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে যা বন্দুকযুদ্ধের সময় মৃত্যু হয়েছে বলে মিথ্যা দাবি করা হয়েছে। এখনও অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে অনেকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচক ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকার ক্রমাগতভাবেই অস্বীকার করে আসছে যে তার নিরাপত্তা বাহিনী জোরপূর্বক গুম করে থাকে। এই ধরনের অস্বীকারগুলি কর্তৃপক্ষের পদমর্যাদার মাধ্যমে সরকারী নেতৃত্বের কাছ থেকে নেমে আসে। ভুক্তভোগীদের পরিবার বারবার স্পস্টভাবে পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক মামলা দায়ের করা বা কথিত জোরপূর্বক গুমের বৈধ তদন্ত পরিচালনার প্রত্যাখানের কথা বর্ননা করেছে, এমনকি মাঝে মাঝে "উপর থেকে আদেশ" আছে এমনটিও উল্লেখ করেছে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, কুখ্যাতভাবে অবমাননাকর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বাংলাদেশে অন্য যে কোনো ইউনিটের চেয়ে বেশি জোরপূর্বক ভাবে গুমের জন্য দায়ী। এই ইউনিটকে “ডেথ স্কোয়াড” হিসেবে আখ্যায়্যিত করে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো র্যাবকে ভেঙ্গে ফেলার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছে। ২০২০ সালের অক্টোবরে, ১০ জন আমেরিকান সিনেটর দ্বি –পক্ষীয় (bipartisan) চিঠি প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে র্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড, জোরপূর্বক গুম হওয়া এবং নির্যাতনের জন্য নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইইউ এবং একই ধরনের মানবাধিকার বিষয়ক নিষেধাজ্ঞার মত শাসন ব্যবস্থা সহ অন্যান্য সরকারকে চলমান জোরপূর্বক গুম হওয়া এবং অন্যান্য গুরুতর অপব্যবহারের জন্য দায়িত্বশীল শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপরে উদ্দেশ্যমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের উচিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তাদের নিষিদ্ধ করা এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার স্ক্রিনিং নীতি কার্যকরভাবে নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের পতাকার নিচে মোতায়েন করা ব্যক্তিদের স্ক্রিনিং বাড়ানো।
"ডেথ স্কোয়াডের সদস্যদের বিদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন করা উচিত নয়," অ্যাডামস বলেছেন। "জাতিসংঘের পিস অপারেশন ডিপার্টমেন্টকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে শান্তিরক্ষী থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত এবং যুক্তরাষ্ট্রকে নির্যাতন, বলপূর্বক গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত বাংলাদেশী কমান্ডারদের বিরুদ্ধে পৃথক মানবাধিকার বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা আনতে হবে।"
প্রতিবেদন থেকে জোরপূর্বক গুমের পৃথক বিবরনের জন্য, অনুগ্রহ করে নীচে দেখুন।
জোরপূর্বক গুমের ঘটনার বিবরন
আব্দুল কাদের ভূঁইয়া, বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কর্মী, যিনি মাসুম নামেও পরিচিত ছিল; ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তুলে নিয়ে যায়। প্রায় সাত বছর পর, তিনি এখনও নিখোঁজ। মাসুমের মা, আয়েশা আলী হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেনঃ
“আমি ভেঙ্গে পড়েছি। আমাকে মা ডাকার মত এখানে কেউ নেই। আমি শুধুমাত্র চাই আমার ছেলে ফিরে আসুক। এমনকি এ বিষয়ে আমরা কোনো কথা বলবো না। আমরা ভুলে যাব কি হয়েছিলো, শুধু দয়া করে আমার ছেলেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন। আমার দিক থেকে সব কিছু হারিয়ে গেছে।“
নুর হাসান হিরু, ঢাকার উত্তরার তৎকালীন বিএনপি –এর সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে যাকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য বলে দাবী করা পাঁচ অথবা ছয়জন ব্যাক্তি ২০১১ সালের ২০ই জুনে তুলে নিয়ে যায়। হিরুর পরিবার পরবর্তীতে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচিত একজনের কাছ থেকে জানতে পারে যে সে র্যাব এর হেফাজতে ছিল। হিরু এখনও নিখোঁজ। তার ভাই হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানায় যেঃ “বিগত ১০ বছর ধরে সে [হিরু] নিখোঁজ, আমরা জানি না সে জীবিত নাকি মৃত। সে যদি মৃতও হয়ে থাকে, আমরা তার কোনো লাশও পাইনি। এই যন্ত্রণার শেষ কোথায়?”
মোহাম্মদ রেজাউন হোসেন, ইসলামিক রাজনৈতিক দল জামায়াতী ইসলামের একটি ছাত্র সংগঠন- ছাত্র শিবির এর একজন কর্মী, যাকে ২০১৬ সালের ৪ই আগষ্ট, পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের জানায়। সেই সময়ের পর থেকে তাকে আর দেখতে বা তার কথা শুনতে পাওয়া যায়নি। “যদি আমার ছেলে অপরাধী হয়, পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করতে পারতো,” তার মা সেলিনা বেগম বলেছেন। “কেন পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গেল এবং গুম করে দিল?” যখন তার পরিবার বেনাপোল থানায় একটি অভিযোগ দাখিলের চেষ্টা করে ছিল, তারা জানায় যে, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেই মুহূর্তে তাদের বলেছিলো, “রেজোয়ানের খোঁজ করোনা নতুবা আমরা তোমাদের সবাইকে হত্যা করবো।“
রফিকুল ইসলাম রাজা যাকে ২০১৩ সালের ২৬শে এপ্রিল নিজেদের পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্য দাবি করা কিছু লোকজন তার কিছু বন্ধুদের সহ তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তার বন্ধুদের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু রাজা নিখোঁজ রয়ে যায়। রাজার মা বলেছিলেন যে তার ছেলের গুম হবার তথ্য তিনি বিশ্বের কাছে জানাতে চান যাতে সে তার ছেলেকে ফিরে পেতে পারেন। তিনি হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের বলেছিলেন যে যদি সে মারা যায়, তিনি অন্তত পক্ষে তার ছেলের লাশ চান যেন তিনি ''সঠিক নিয়ম কানুন এবং প্রার্থনা'' করতে পারেন।"
তপন চন্দ্র দাস, ৪০, একজন ব্যবসায়ী, ২০১১ সালের ৩রা আগষ্ট যিনি তার ব্যবসায়িক অংশীদার, গোবিন্দ দাসের সাথে এক মিটিং শেষ একটি রিকসায় করে বাসায় ফিরছিলেন, তখন নিজেদের ঢাকার গোয়েন্দা শাখার সদস্য দাবি করা বেশ কিছু লোকজন তাকে (তপন) আটক করে, তপনের স্ত্রী সুমি দাস হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছিল। গোবিন্দ মুক্তি পেয়ে গিয়ে ছিল কিন্তু তপন নিখোঁজ রয়ে গেছে। সুমি বলেন যে, তিনি এখনো আশাবাদী যে সে (তপন) ফিরে আসবে আর এজন্য সে (সুমি) এখনও লাল বিন্দি এবং সিঁদুর পড়ে থাকেন যা ইঙ্গিত করে যে সে বিবাহিত, কিন্তু তিনি উদ্বিগ্ন যে এটি তার জন্য সম্ভব নয় যে ১০ বছর ধরে তাকে সঠিক ভাবে খাওয়ানো এবং জীবিত রাখা হয়েছে । তিনি (সুমি) বলেন যে মাঝে মধ্যে তিনি ভাবেন তিনি শুনতে পান সে (তপন) তার নাম ধরে ডাকছে। এই মামলাটিতে কোনো ধরনের অগ্রগতি নেই।
মোহাম্মদ ফখ্রুল ইসলাম, সুইফট ক্যাবল নেটোয়ার্কের মালিক, যাকে ২০১৩ সালের ১১ই মে মাসে র্যাব কর্মকর্তারা তুলে নিয়ে যায়, যখন তিনি গাড়ি মেরামত করছিলেন। একজন আত্নীয় জানান যে, ২০১৩ সালের ১৩ মে’তে র্যাব এই গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করার পর, পরিবারটি একটি সাধারণ ডায়েরী (পুলিশ রিপোর্ট) দায়ের করেছিল। এর পর পরই, ঐ আত্নীয় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের বলেছিল যে, একজন র্যাব সদস্য তাকে বলেছেন তারা যদি এই বিষয়ে খুব বেশি সামনে এগিয়ে যায়, তাহলে তাদেরকেও গুম করে দেয়া হবে।
মীর আহমদ বিন কাসেম, যিনি আরমান নামেও পরিচিত, তাকে ২০১৬ সালের ৯ই আগষ্ট, তার স্ত্রী ও বোনের উপস্থিতিতে গভীর রাতে সাত বা আটজন লোক তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তার গুম হবার পরে, আরমানের পরিবার বলেছিল যে পুলিশ তাদের হুমকি দিয়েছিল এবং হয়রানি করেছিল। এক পর্যায়ে, বিশেষত উচ্চ মাপের সংবাদ মাধ্যমের কভারেজের পরে, পরিবার জানিয়েছিল, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল: "[মিডিয়া কভারেজ] এর পরে, পুরো বাড়ি র্যাব দ্বারা ঘেরাও করা হয়েছিল," পরিবারের একজন সদস্য বলেন। “একশ বা তারও বেশি। এটা ভীতিকর ছিল. তারা পুরো বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছিল। সিঁড়িগুলো ছিল পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিপূর্ণ।