Skip to main content
Hla Win walks with crutches near her son at a displacement camp near Pekon township, Myanmar, July 29, 2023.

"আমি ভাবিনি সামরিক বাহিনী আমার বাড়িতে মাইন পুঁতে রাখবে"

মায়ানমারে ল্যান্ডমাইন বেঁচে থাকা ভুক্তভোগীদের সাক্ষাৎকার

২৯ জুলাই, ২০২৩ তারিখে মিয়ানমারের পিকন টাউনশিপের কাছে একটি বাস্তুচ্যুত ক্যাম্পে হ্লা উইন তার ছেলের পাশে ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটছেন।© 2023 STR/AFP via Getty Images

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে, নতুন সামরিক বিরোধী জান্তা সশস্ত্র গোষ্ঠী প্রায়শই জাতিগত শক্তির সাথে ঢিলে ঢালা জোট গঠন করে সংঘাতে যোগ দিয়ে আসছে। ক্রমবর্ধমান প্রতিরোধ এবং আঞ্চলিক ক্ষয়ক্ষতির মুখে, জান্তা বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে তার “স্কর্চড আর্থ” কৌশল ত্বরান্বিত করেছে, যার ফলে গ্রামে হামলা, হত্যা, যৌন সহিংসতা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে আসছে। আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন এবং ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট অনুসারে অভ্যুত্থানের পর থেকে ৭০,০০০ এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

চলমান সংঘাতের সময়, জান্তার অ্যান্টিপারসোনেল ল্যান্ডমাইন ব্যবহার করা বেড়েছে যা একটি নিষিদ্ধ অস্ত্র যা পুঁতে ফেলার অনেক দিন পরে নির্বিচারে হত্যা এবং আহত করে থাকে। বেশ কিছু অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীও অ্যান্টিপার্সনেল মাইন ব্যবহার করে আসছে।

সর্বশেষ ল্যান্ডমাইন মনিটর রিপোর্ট অনুসারে ২০২৩ সালে মিয়ানমার প্রথমবারের মতো ল্যান্ডমাইনে  নিহত হওয়ার বৈশ্বিক তালিকায় শীর্ষে ছিল, যেখানে ১,০০৩ জন বেসামরিক লোকের মৃত্যু এবং আহত হবার ঘটনা ঘটেছে – যা আগের বছরের প্রায় তিনগুণ বেশি। প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত আরও অনেক বেশি হবে। ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে, ৬৯২ জন হতাহতের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছিল, যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ ছিল শিশু। রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে মিয়ানমার শুধুমাত্র চারটি রাষ্ট্রের মধ্যে একটি – যারা গত বছর ধরে সক্রিয়ভাবে অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন ব্যবহার করে আসছে।

নীচের তিনটি গল্প এমন লোকদের থেকে যারা অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে গিয়েছিল কিন্তু যাদের জীবনে অপূরণীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে।
 

ডাও খিন

৫৭ বছর বয়সী ডাও খিন ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ তার বাড়িতে লাগানো একটি অ্যান্টিপারসোনেল মাইনে পা দিয়েছিলেন৷

তিনি এক বছরেরও বেশি সময় আগে, ২০২১ সালের মে মাসে সামরিক বিমান হামলা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে পূর্ব কারেননি রাজ্যের ডেমোসো শহরে তার গ্রামে ফিরে এসেছিলেন, যা কায়াহ নামেও পরিচিত। সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েক মাস পর পরেই রাজ্যে সংঘাত শুরু হয়। সশস্ত্র বিরোধিতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সামরিক বাহিনীর অপব্যবহারও বেড়েছে, যার মধ্যে বিমান ও কামান হামলা সহ বেসামরিক লোকদের হত্যা করা এবং বেসামরিক কাঠামো ধ্বংস করার ঘটনা রয়েছে। জান্তা সামরিক ইউনিটগুলি এলাকায় অবস্থানের সময় এবং প্রত্যাহার করার সময় উভয়ই বিমান হামলা এবং যুদ্ধ দ্বারা খালি হয়ে যাওয়া গ্রামগুলিতে বাড়ির চারপাশে এবং পথের পাশে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখেছিল।

ডাও খিনের গ্রাম থেকে সামরিক বাহিনী পিছু হটে। "আমি ফিরে যেতে ছুটে গিয়েছিলাম," তিনি বলেছেন। “গ্রামের অনেক বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল কিন্তু আমার বাড়ি ঠিক ছিল, শুধু ছাদ ধ্বংস হয়ে ছিল। বাড়িতে গুলির ছিদ্র ছিল। তাদের মধ্যে আমি বারোটি গণনা করে ছিলাম।"

অন্য অনেক গ্রামবাসীর মতো যারা ফিরে এসেছিল, তিনি ধীরে ধীরে তার বাড়ি মেরামত করতে শুরু করে ছিলেন। তিনি ফিরে আসার দুদিন পর, বাহিরে টয়লেট পরিষ্কার করার সময়, তিনি একটি ল্যান্ডমাইনে পা রাখেন। "আমি ভাবিনি সামরিক বাহিনী আমার বাড়িতে মাইন পুঁতে রাখবে।"

ডাও খিনের ভাগ্নে এবং তার মেয়ের জামাই বিস্ফোরণের শব্দ শুনেন এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি তিন দিন যাবত অজ্ঞান ছিলেন এবং দুই মাস চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসকরা তার ডান পায়ের ঊরু থেকে, বাম পায়ের হাঁটুর নীচে এবং তার একটি আঙ্গুল কেটে ফেলেন। "আমি দেখতে পেয়েছিলাম যে আমার পাগুলো নেই," তিনি বলেছেন। “আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে কাঁদছিলাম এবং খুব বিষণ্ণ ছিলাম। আমি আমার মেয়েকে অনেক প্রশ্ন করেছিলাম, যার কোন কিছুই আমার মনে নেই।"

ডাউ খিনের প্রতিবেশীও পরের দিন একটি মাইন দ্বারা আহত হয়ে ছিলেন। "[সেনারা] আমাদের গ্রামে মাইন পুঁতে রেখেছিল যখন তারা সেখানে অবস্থান নিয়েছিল, কিন্তু যখন তারা সরে যায় তখন মাইনগুলো সেখানেই রেখে যায়," তিনি বলেছেন। যদিও সে কখনই তার টয়লেটের কাছে মাইনটি দেখেননি, কিন্তু তাকে বলা হয়েছিল যে এটি একটি বাউন্ডিং ফ্র্যাগমেন্টেশন মাইন।

ডাও খিন তার স্বামীর সাথে বিমান হামলা থেকে পালিয়ে গিয়ে ছিলেন, যিনি ২০২২ সালের এপ্রিলে অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছিলেন যখন তারা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য একটি ক্যাম্পে থাকতেন। তার পা হারানোর পর, তিনি তার ছেলে এবং ছেলের পরিবারের কাছে চলে যান। "আমি এখনও যন্ত্রণা অনুভব করছি," তিনি বলেছেন। “আমি সব সময় অসাড়তা অনুভব করি। যখন ঠান্ডা পড়ে তখন এটি আরও খারাপ হয়। আমি যন্ত্রণায় কান্না করতে থাকি। ঊরু থেকে কাটা পা সবচেয়ে বেশি বেদনাদায়ক।"

তিনি ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য দুবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন কিন্তু ২০২৩ সালের নভেম্বরে সংঘাত বেড়ে যাবার পর থেকে ফিরে আসতে পারেননি। "সমস্ত প্রতিরোধ-নিয়ন্ত্রিত হাসপাতাল অনেক দূরে অবস্থিত, এবং আমার কাছে সেখানে যাতায়াতের জন্য অর্থ নেই," তিনি বলে ছিলেন। "তাই আমি শুধু প্যারাসিটামল খাই," যা একটি হালকা ব্যথা উপশমকারী।

তিনি ২০২৩ সালের মে মাসে একটি কৃত্রিম অঙ্গ পেয়েছিলেন কিন্তু বলেছেন যে তিনি এটি ব্যবহার করতে পারবেন না কারণ এটি ভালভাবে ফিট হয় না বা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে না, কেননা তিনি উভয় পা-ই হারিয়েছেন। তার ক্রাচ আছে কিন্তু কোন হুইলচেয়ার নেই এবং তিনি বলেন যে এলাকায় তিনি থাকেন তা যাইহোক দুর্গম। "আমি বাড়িতে কিছুই করি না," সে বলেছেন। “কিছু পরিষ্কার করা। আমি এটি মুছতে মেঝেতে নিজেকে টেনে নিই।"

ইউ উইন

ইউ উইন, ৪৫, তার বাড়ি ধ্বংসকারী সামরিক বিমান হামলা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে, খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং ঔষুধের অপর্যাপ্ত সরবরাহ নিয়ে কারেননি রাজ্যের একটি অস্থায়ী বাস্তুচ্যুতি ক্যাম্পে এক বছর কাটিয়েছেন।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে, তিনি ডেমোসো শহরের নান মেই খোন গ্রামে তার খামারে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং খাবারের জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু একদিন ভোর বেলায়, নিরাপদ বলে মনে করেন এমন একটি এলাকায় মোরগের ডাক শুনে শিকার করতে যেয়ে তিনি পুঁতে রাখা একটি অ্যান্টি-পার্সনেল মাইনে পা রাখেন।

বিরোধী কারেননি ন্যাশনালিটিস ডিফেন্স ফোর্সের একজন সদস্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দ্বারা পুঁতে রাখা অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন ধরে আছেন এবং পিকন টাউনশিপের কাছে ডিমাইনিং অপারেশনের সময় অপসারণ করছেন, ১১ই জুলাই, ২০২৩।  © 2023 STR/AFP via Getty Images

"আমি এটিতে পা দেওয়ার পরেই জানতে পারলাম," তিনি বলেছিলেন। “আমার পা উড়ে গেল। আমার রক্তপাত হচ্ছিল এবং হামাগুড়ি দিয়ে একটি কুঁড়েঘরে ফিরে যেতে হয়েছিল যেখানে আমার বন্ধু ছিল।"

লোইকাও হাসপাতালে ইউ উইনের বাম পায়ের নিচে কেটে ফেলা হয়ে ছিল। তিনি আসার পরপরই তার গ্রামের আরও তিনজন ল্যান্ডমাইনে শিকার হওয়া চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছিল, যার মধ্যে একজন ১৪ বছর বয়সী ছেলেও ছিল। গ্রামবাসীরা তাকে জানায় তারা মাইনগুলিকে ছোট প্লাস্টিকের বিস্ফোরণ মাইন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

"সামরিক বাহিনীরা গ্রামে, বড় বড় দালান ও বাড়ির প্রবেশপথে ল্যান্ডমাইন বসিয়েছে, যাতে বাধা তৈরি করে সেখানে লোকদের থাকতে দিতে না পারে," তিনি বলেছিলেন। তারা তাদের ক্যাম্পে যাওয়ার পথেও মাইন পুঁতে রেখেছিল। "কারেননিতে, আমাদের এখনও প্রতিটি গ্রামে যেখানে সামরিক বাহিনী অবস্থান করেছিল সেখানে ল্যান্ডমাইন রয়েছে।"

ইউ উইন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে একটি কৃত্রিম অঙ্গ পেয়েছিলেন কিন্তু চলমান ব্যথার কারণে এটি সীমিত ভাবে সক্রিয় ছিল, যার জন্য তিনি ওষুধ পেতে অক্ষম ছিলেন। "আমি দীর্ঘদিন যাবত হাঁটতে বা ভ্রমণ করতে পারি না, এটি এখনও যন্ত্রণাদায়ক," তিনি বলেছিলেন। “আমার একটা পরিবার ছিল – ভাইবোন এবং বাবা-মা ছিল। কিন্তু সংঘাতের কারনে আমরা আলাদা হয়ে গেছি। আমাদের বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।”

জীবিত অনেকের মতো যারা কৃষিকাজ বা অন্যান্য শারীরিক শ্রম দিয়ে কাজ করে ছিলেন, ইউ উইন তার আগের জীবিকাতে ফিরে যেতে অক্ষম ছিলেন। "আমি আহত হওয়ার পর থেকে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে," তিনি বলেছিলেন। "আমি কাজ করতে পারি না। আমার অর্থ বা চাকরি নেই। সামরিক বাহিনী সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।”

আবদুল্লাহ

আবদুল্লাহ, ৪০, মংডুর উত্তরে তার গ্রাম অউক (লেট থার) থেকে পালানোর সময় একটি অ্যান্টি-পার্সনেল মাইনে পা দিয়েছিলেন, যেখানে ২০২৪ সালের আগস্টের শুরুতে ড্রোন হামলা এবং শেলিংয়ে কয়েকশ রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হয়েছিল বলে জানা গেছে।

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে সেনাবাহিনী এবং জাতিগত আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত বেড়েছে, উভয় পক্ষই ল্যান্ডমাইন ব্যবহার করে আসছে, পাশাপাশি গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ করা এবং বেসামরিক লোকদেরকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করছে।

৯ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে তার গ্রাম থেকে পালানোর সময় একটি অ্যান্টিপারসোনেল মাইনের উপর পা রাখার পর আবদুল্লাহ তার বাম পা হারান। © 2024 Sohel Khan

“৯ই আগস্ট আরাকান আর্মি আমাদের গ্রাম থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে, তাই আমরা নাফ নদীর দিকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করি,” আবদুল্লাহ বলেন। ওই দিন চার থেকে পাঁচটি মাইন বিস্ফোরণে অন্তত দুই রোহিঙ্গা নিহত হয় বলে জানান তিনি। “ল্যান্ডমাইনগুলিকে কনডেন্সড মিল্কের ক্যানের মতো দেখতে সদৃশ বস্তুর ভিতরে স্থাপন করা হয়েছিল, যার উপরে বালি এবং নুড়ি স্তূপ করা হয়েছিল। কিছু কাছাকাছি আসতেই তারা বিস্ফোরিত হয়। আমরা প্রধান রাস্তা ধরে হাঁটার সময় আমার এবং অন্য একজন গ্রামবাসীর পায়ের নীচে একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরিত হয়।”

আবদুল্লাহ রক্তক্ষরণের কারণে জ্ঞান হারান যখন গ্রামবাসীরা তাকে নদীতে নিয়ে যেতে এবং শেষ পর্যন্ত একটি নৌকায় পার হতে সাহায্য করেছিল।

"যখন ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরিত হয়, আমরা সবাই ভেবেছিলাম সে মারা গেছে," আবদুল্লাহর সাথে পালিয়ে আসা তার এক বন্ধু বলেন।

“গ্রামবাসীরা আমাকে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য টাকা সংগ্রহ করেছিল,” আবদুল্লাহ বলেন। ১৩ই আগস্ট তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। “আমি বিশ্বাস করি যে আমি যদি আরও একদিনের মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছাতে না পারতাম তাহলে আমি মারা যেতাম।”

বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রথমে আবদুল্লাহ ও তার পরিবারকে বাধা দেয় কিন্তু তার আঘাতের তীব্রতা দেখে তাদের প্রবেশ করতে দেয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেখানে তিনি ছয় সপ্তাহ ছিলেন সেখানে তার বাম পায়ের নিচের অংশটি কেটে ফেলা হয়। একই ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত আরেক রোহিঙ্গাও পা হারান।

“জুলাই থেকে, আমরা বন্দুকের গুলি এবং বিস্ফোরণে আঘাত সহ মানসিক আঘাতের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছি,” বাংলাদেশের কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের মেডেসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়েরস (এমএসএফ)-এর ডেপুটি হসপিটাল পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ নাদিম শাহরিয়ার বলেন।  “কিছু রোগী চিকিৎসা না করা অবস্থায় ক্ষত নিয়ে এসেছিলেন যেগুলি সংক্রামিত হয়েছিল, রক্তক্ষয়ের কারণে সেপসিস বা গুরুতর রক্ত স্বল্পতার লক্ষণ দেখা যায় তাদের মধ্যে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে আমাদের কাছে পৌঁছানোর কয়েক দিন আগে অনেকেই তারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ছিলেন।… তিন দিনের সময়কালে [আগস্টে], আমরা বিলম্ব করে আসা এবং চিকিৎসা না পাওয়ায় ক্ষত জড়িত প্রায় ৫০টি নতুন ঘটনার চিকিৎসা করেছি।… বেশ কিছু রোগী সংঘাত এড়ানোর সময় ক্রসফায়ারে ধরা পড়ে বা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।"

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আনুমানিক ৪০,০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে, যারা মিয়ানমারে পূর্বের নৃশংসতা থেকে পালিয়ে আসা প্রায় এক মিলিয়ন শরণার্থীর সাথে যোগ দিয়েছেন। সম্প্রতি আগত শরণার্থী হিসাবে, আবদুল্লাহকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ নিবন্ধিত করেনি, তাকে চলমান সহায়তা, এমনকি রেশন কার্ড অ্যাক্সেস করতে বাধা দেয়া হচ্ছে।

"আপনি বাইরের ক্ষত দেখতে পাচ্ছেন, কিন্তু রোগীর ভিতরের ক্ষত, যা এই রোগীদের জন্য একটি দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠে যা তারা তাদের সাথে বয়ে নিয়ে চলছে, যা নিরাময় করা আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ," ডাঃ শাহারিয়ার বলেন।

Your tax deductible gift can help stop human rights violations and save lives around the world.

Region / Country
Topic