আসলেই এটি বাড়াবাড়ি। গত মাসের শেষ দিকে একটি দ্রুতগামী বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ছাত্রকে হত্যার পর তার মতো কয়েক লক্ষ ছাত্র রাস্তায় নেমে নিরাপদ সড়কের জন্য আহ্বান জানায়। ছাত্ররা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ সড়কের দাবি তোলে, একই সাথে তারা জবাবদিহিমূলক ও আইনের শাসনের দাবি জানায়: দাবির স্লোগান “আমরা ন্যায় বিচার চাই”। তারা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রাস্তায় অবস্থান নেয়, ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ বসবাসের এই শহরটি অচল হয়ে যায়।
কিন্তু বাংলাদেশের সরকার এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনের জন্য শক্তি প্রয়োগ করেছে, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে। ছাত্র, অভিভাবক, শিক্ষক, এমনকি আতঙ্কিত নাগরিকরা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কাছে ছবি ও ভিডিও পাঠাচ্ছে যেখানে কিছু লোককে, যারা নিজেদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে পরিচয় দিয়েছে, প্রতিবাদী ছাত্র এমনকি ইউনিফর্ম পরিহিত স্কুলছাত্রদের মারধর করতে দেখা যায়।
১৮-বছর-বয়সী ছাত্রটি বলেছে, ৩ আগস্ট বিক্ষোভের ছবি তোলার সময় একদল লোক- আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কথিত সদস্য- তার ওপর হামলা করে। “তারা আমার ক্যামেরাটি ছিনিয়ে নিতে চায়,” সে বলেছে। দুর্বৃত্তরা যখন লাঠি, পাইপ ও রামদা দিয়ে তাকে মারছিল তখন সে দেখে যে পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘটনাটি দেখছে। “তারা কিছুই করেনি,” সে বলেছে।
হামলাকারীদের বিচারের সম্মুখীন করার পরিবর্তে বাংলাদেশের সরকার সমালোচনা বন্ধ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে মনিটর করছে। সহিংস দমনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার কারণে সুপরিচিত ফটোগ্রাফার ও এ্যাকটিভিস্ট শহীদুল আলমসহ কমপক্ষে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর ইতি টানা প্রয়োজন। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিত শহীদুল আলম এবং অন্যান্যদের মুক্তি দেয়া, সহিংসতার সাথে জড়িত তার দলের সমর্থকসহ সবার বিচার করা; উপরন্তু সকলের, এমনকি শিশুদেরও, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমুন্নত করা। কারণ কেবলমাত্র প্রতিবাদ এবং নিজের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য কারোরই সহিংসতা বা গ্রেফতারের আতঙ্কে ভোগা উচিত নয়- অন্তত তরুণ ছাত্রদের তো নয়ই।