Skip to main content

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ব্র্যান্ডগুলোর কাছে, রানা প্লাজা ধ্বসে বেঁচে যাওয়া একজন ব্যাক্তির বার্তা

উৎপাদনকারী কারখানা সম্পর্কে আরও তথ্য প্রদান করতে কোম্পানীগুলির উপর চাপ প্রয়োগ

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সালে ঢাকার বাইরে রানা প্লাজা ভবনের ধ্বংসস্তূপ আটকে থাকা মানুষদের জন্য তাদের আত্মীয়দের আহাজারি।

ঘুমের ঔষধ ছাড়া আমি কখনও ঘুমাতে পারি না। আমার কেবলই মনে হতে থাকে কত মানুষ সেদিন মারা গিয়েছে।”

শাবানা (ছদ্মনাম), রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপে তিন দিন ধরে বাঁচার জন্য লড়াই করেছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে 'রানা প্লাজা' নামক আটতলা একটি ভবন, ধ্বসে পড়ে। ঐ ভবনে পাঁচটি ব্র্যান্ডের পোশাক কারখানা ছিল।

চার বছর পর, শাবানা এখনও তার আগের জীবন ফিরে পেতে সংগ্রাম করছে। সে দুঃস্বপ্ন দেখে। বিষণ্ণতা তার জীবন ও কাজ করার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্থ করছে। পোশাক কারখানার ভেতর এক পা ফেলাও তার কাছে এখন দুঃস্বপ্নের মত । সে এখন একজন গৃহকর্মী। 

রানা প্লাজার কারখানাগুলি কোন কোন ব্র্যান্ডের পোষাক তৈরীতে ব্যবহৃত হতো সে সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সমাজকর্মীরা ধ্বংসস্তূপে ব্র্যান্ডগুলির চিহ্ন খোঁজার চেষ্টা করেছেন এবং বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছেন। 

এই গোপনীয়তাটি গত কয়েক দশক ধরে পোশাক শিল্পের একটি ধারা হয়ে আসছে। যদিও কয়েকটি কোম্পানি যেমন অ্যাডিডাস, নাইকি, লেভি, পুমা এবং প্যাটাগানিয়া, এক দশক আগে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা শুরু করেছিল, সম্প্রতি এতে অন্যরা যোগ দিয়েছে। 

২০১৩ সালের শেষ নাগাদ কমপক্ষে ২৯ টি পোশাক কারখানা তাদের পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছিল। তবুও, উৎপাদনকারী কারখানার ব্যাপারে তথ্য প্রকাশে কোম্পানির অঙ্গীকার অসঙ্গত, এবং তারা কোন ধরনের তথ্য প্রকাশ করবে সে সম্পর্কে বিভিন্ন ব্রান্ডের বিভিন্ন নীতিমালা রয়েছে। অনেক ব্রান্ড কোন ধরনের তথ্যই প্রকাশ করেনা।

গত বছর শ্রম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলির একটি জোট স্বচ্ছতা প্রতিশ্রুতির অনুমোদন করেছিল, যা উৎপাদনকারী কারখানার তথ্য প্রকাশের জন্য ন্যূনতম মান নির্ধারণ করে। ৭২ টি পোশাক ও জুতা কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করে প্রতিশ্রুতি পালন করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানায় এ জোট । এ প্রতিশ্রুতি কর্পোরেশনগুলোতে একটি প্রথার উদ্ভাবন করে এবং পোশাক কারখানাগুলোর মধ্যে সমতা বজায় রাখে। 

২০১৭ সালের শেষ নাগাদ ১৭ টি কোম্পানি তথ্য প্রকাশের এ প্রতিশ্রুতির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করবে। অনেকেই সঠিক পথে অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু এ শিল্পকে আরও অনেক দূর যেতে হবে। সুবিশাল ব্র্যান্ড যেমন ফরএভার ২১, আরবান আউটফিটার্স, ওয়ালমার্ট, প্রাইমার্ক, এবং আরমানি এখনো স্বচ্ছতা প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেনি।

সরবরাহকারী কারখানার স্বচ্ছতা, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার পূরণের জন্য কাজ করে ঠিক যেমনটি করে বাংলাদেশ নিরাপত্তা অ্যাকর্ড ফর ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি। অনেক ব্রান্ডই এ অ্যাকর্ডের একটি অংশ এবং তারা তাদের সরবরাহকারী কারখানার তথ্য প্রকাশ করে। 

স্বচ্ছতা প্রতিশ্রুতি গ্রহণে অনিচ্ছুক কোম্পানিগুলো কখনও কখনও প্রতিযোগিতার কারণে তথ্য প্রকাশে অনীহা জানায়। কিন্তু ক্রমবর্ধমানভাবে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা এ মিথ্যা ঘটনাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

শাবানা রানা প্লাজার কারখানাতে কাপড় সেলাই করতেন। কিন্তু তিনি এবং অধিকাংশ শ্রমিকেরা ব্রান্ডগুলো সম্পর্কে জানেননা। শাবানা'র মতে “শ্রমিকদের ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানা উচিত যাতে তারা তাদের সত্যি কারের গল্প বলতে পারে,” 

GIVING TUESDAY MATCH EXTENDED:

Did you miss Giving Tuesday? Our special 3X match has been EXTENDED through Friday at midnight. Your gift will now go three times further to help HRW investigate violations, expose what's happening on the ground and push for change.
Region / Country