Skip to main content

বাংলাদেশ

২০২৪এর ঘটনাসমূহ

কোটা বিরোধী বিক্ষোভে নিহতদের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল, ঢাকা, বাংলাদেশ, ৩আগস্ট, ২০২৪।

© 2024 KM Asad/LightRocket via Getty

আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বিক্ষোভকারীদের দ্বারা অপসারণের পর নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তী সরকার জবাবদিহিতা এবং সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়।

জুলাই মাসে হাসিনার আওয়ামী লীগ দলীয় সমর্থকরা এবং পুলিশ সরকারী চাকরির জন্য রাজনৈতিক প্রভাবদুষ্ট কোটা বাতিলের জন্য শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, স্টান গ্রেনেড এবং রাবার ও লাইভ বুলেট ব্যবহারসহ মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে। কিন্তু বিক্ষোভ চলতে থাকে এবং ৫ আগস্ট হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

ইউনূস সরকার বিক্ষোভের সময় আটক হাজার হাজার লোককে মুক্তি দেয় এবং বিক্ষোভের সময় সংঘটিত নির্যাতন ও তার মূল কারণগুলি তদন্ত করার জন্য একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল পাঠানোর জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিসকে আমন্ত্রণ জানায়। আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার সমস্ত বলপূর্বক গুমের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে এবং এনফোর্সড ডিসপিয়ারেন্স সংক্রান্ত জাতিসংঘের কনভেনশনে স্বাক্ষর করে। সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আগে বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সংবিধান সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করে। পরবর্তীতে গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম অধিকার এবং নারীর অধিকার বিষয়ে নীতিগত সুপারিশ করার জন্য আরও চারটি কমিশন গঠন করা হয়।

সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের জন্য বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য একটি দেশীয় বিশেষ আদালত ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইসিটি ন্যায় বিচারের মানদন্ড পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, এবং অন্তর্বর্তী সরকার আইনটি সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য চেষ্টা করলেও, তাতে এখনও কিছু যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার সুরক্ষার অভাব রয়েছে এবং এতে মৃত্যুদণ্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন।

সরকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন

জানুয়ারিতে নির্বাচনের আগে, নিরাপত্তা বাহিনী কয়েক হাজার বিরোধী সদস্য ও সমর্থকদের গ্রেপ্তার করেছে। প্রধান বিরোধী দলগুলি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বয়কট করে এবং হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে আসেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জাতিসংঘ বলেছে যে নির্বাচন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্তিমূলক ছিল না, অন্যদিকে চীন, রাশিয়া এবং ভারত হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছিল।

চাকরির কোটা নিয়ে জুলাই মাসে শুরু হওয়া বিক্ষোভ দ্রুত হাসিনার দমনমূলক শাসনের অবসানের দাবিতে পরিণত হয়। কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী ইন্টারনেট শাটডাউন আরোপ করে, তথ্যের প্রবাহ সীমিত করে এবং "শুট-অন-সাইট/ দেখা মাত্রই গুলি" আদেশ দিয়ে কারফিউ বলবৎ করেছে।

জুলাই মাসে সহিংসতায় এবং হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর প্রতিশোধমূলক সহিংসতায় ১০০ টিরও বেশি শিশুসহ প্রায় ১০০০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

হাসিনার শাসনের অবসান হওয়া সত্ত্বেও, আগস্ট থেকে নিরাপত্তা বাহিনী হাসিনার প্রশাসনের অধীনে পরিচিত কিছু নির্যাতনের ধরণে ফিরে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বিচারে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থক এবং বিগত সরকারের পক্ষপাতী বলে মনে করা সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা, এবং বিপুল সংখ্যক "অজ্ঞাত" লোকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা।

জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা

হাসিনার পদত্যাগের পর, দাঙ্গাবাজরা হিন্দু, আহমাদি মুসলিম এবং জাতিগত সংখ্যালঘুসহ আওয়ামী লীগের সমর্থকদের উপর চালানো হামলা ও সহিংসতায় ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। অপরাধী ও বিরোধী সমর্থকরা দোকানপাট, বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে হামলা চালায়। অনেক মুসলিম সংখ্যালঘুদের রক্ষা করেছে এবং হামলার সমালোচনা করেছে।

সেপ্টেম্বরে পার্বত্য চট্টগ্রামে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। আদিবাসী জুম্ম সম্প্রদায়ের সদস্যরা একজন বাঙালি বসতি স্থাপনকারীকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করে একদল জনতা জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করে এবং তাদের সম্পত্তি পুড়িয়ে দেয়। জুম্ম যুবকরা প্রতিবাদ করলে সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাজা গুলি ব্যবহার করে। সহিংসতায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। স্বাধীন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিকদের এই এলাকায় প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

জোরপূর্বক গুম এবং নির্যাতন

যদিও হাসিনা প্রশাসন বারবার নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক জোরপূর্বক গুমের বিষয়টি অস্বীকার করেছে, কিন্তু তিনজন ভিকটিম- মাইকেল চাকমা, মীর আহমদ বিন কাসেম এবং আবদুল্লাহিল আমান আজমি-কে তার পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পর মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। বের হয়ে তারা বলেছে যে তাদের নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছিল কিন্তু অন্যান্য বন্দীদের নির্যাতনের কারণে চিৎকার তারা শুনতে পায়।

অধিকার, একটি বাংলাদেশী বিশিষ্ট মানবাধিকার সংস্থা, হিসাব অনুযায়ী করে যে হাসিনা সরকারের অধীনে ৭০০ জনেরও বেশি লোককে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছিল। যদিও কয়েকজনকে পরে মুক্তি দেওয়া হয়, আদালতে হাজির করা হয়, বা নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে বলা হয়, কিন্তুপ্রায় ১০০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে

বিক্ষোভের সময় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া ছাত্রদেরসহ নির্যাতনের অভিযোগ আছে। ঐতিহাসিকভাবে, বাংলাদেশে নির্যাতনের অভিযোগ খুব কমই তদন্ত বা বিচার করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার

যদিও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করেছে, কিন্তুসাম্প্রতিক বিক্ষোভ সম্পদের অসম বণ্টন নিয়ে হতাশা প্রতিফলিত করেছে। ১৫-২৪ বছর বয়সী যুবকদের বেকারত্বের হার এই অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি এবং তরুণ মহিলাদের এই হার ৪২শতাংশ। বৈশ্বিক যুব বেকারত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে লৈঙ্গিক ব্যবধান সবচেয়ে বেশি। খাদ্যসহ জীবনযাত্রার ব্যয় এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, কম আয়ের লোকদের জন্য প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে সামান্যই।

গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা

হাসিনা প্রশাসন নির্বিচারে গ্রেফতার ও নজরদারির জন্য মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের টার্গেট করেছিল।

২০২৩ সালে প্রণীত সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট (CSA), তার পূর্বসূরি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অনেক নিপীড়নমূলক উপাদানকে ধরে রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক সমালোচকদের অপরাধীকরণ এবং জেলে পাঠানোর জন্য ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান।

অন্তর্বর্তী সরকার বাকস্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়েছে। যাই হোক, অক্টোবর পর্যন্ত, সরকার কমপক্ষে ১২৯জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং প্রায় ২০০ টি প্রেস এক্রিডেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে, যাতে বুঝা যায় যে পদ্ধতিগত সংস্কার ছাড়া, সরকার পরিবর্তন হলেও নির্যাতনমূলক চর্চাগুলি একই থাকবে। সেপ্টেম্বরে, একটি ফেসবুক ভিডিওতে ইউনূস এবং কুরআন অবমাননার জন্য সিএসএ-এর অধীনে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তিকে তদন্ত করার জন্য আদালত পুলিশকে নির্দেশ দেয়।

নারী ও কন্যাদের অধিকার

জুলাইয়ের বিদ্রোহে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় তাদের পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব হয়নি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ১৩২৫ অনুযায়ীনারীরা দেশের ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত সমস্ত আলোচনায় পূর্ণ, সমান, অর্থবহ এবং নিরাপদ অংশগ্রহণের অধিকারী, যার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন বিচার, আইনি সংস্কার, এবং প্রতিষ্ঠান-বিনির্মাণে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত।

যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ব্যাপক এবং বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের এই অপরাধের জন্য সুরক্ষা বা ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ খুবই কম।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে বাল্যবিবাহের হার বাড়ছে, দেশে ৪২ শতাংশ মেয়ের বিয়ে ১৮ বছর বয়সের আগে এবং ৮ শতাংশ ১৫বছর বয়সের আগে হয়েছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থী

বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। সেপ্টেম্বরে, ইউনূস এমন একটি ব্যবস্থার প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন যা মিয়ানমারের জান্তাকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নির্যাতনের জন্য দায়ী করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করতে হবে যাতে রোহিঙ্গারা নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে। কর্তৃপক্ষ বারবার বলেছে যে দেশটি আরও শরণার্থী গ্রহণ করতে অক্ষম।

বছরের মাঝামাঝি মায়ানমারে সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে আরও ১৮,০০০রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় চেয়েছিল, কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী কয়েক হাজারকে ফিরিয়ে দিয়েছে। অনিবন্ধিত শরণার্থীরা ক্ষুধার ঝুঁকি, এবং তাদের ফেরত পাঠানো হবে এই ভয়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা খোঁজেন না। প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনের বিধান পরিপালনে বাংলাদেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো জোরপূর্বক কাউকে এমন জায়গায় ফিরিয়ে না দেওয়া যেখানে তারা নিপীড়ন, নির্যাতন বা অন্যান্য খারাপ আচরণের প্রকৃত ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ক্যাম্পে সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং গ্যাংদের সহিংসতার কারণে অনিশ্চিত জীবনযাত্রার সম্মুখীন হয়। শরণার্থীদের জন্য কোন ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা নেই। নিরাপত্তা বাহিনী যৌন সহিংসতার দায়মুক্তির সংস্কৃতিকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, যেখানে নারীও মেয়েদের পাশাপাশি এলজিবিটি শরণার্থীরা প্রায়ই আক্রমণের শিকার হয়।

জানুয়ারিতে একটি শরণার্থী শিবিরে আগুন এবং জুলাই মাসে ভারী বর্ষা মানবিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

যৌন অভিযোজন এবং লিঙ্গ পরিচয়

বাংলাদেশে সমকামী আচরণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় যার শাস্তি দশ বছর পর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। যৌনতার ভিত্তিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে কোন আইনি সুরক্ষা নেই। সমকামী, উভকামী এবং ট্রান্সজেন্ডার (এলজিবিটি) মানুষ এবং এই বিষয়ক অধিকারকর্ম সহিংসতার হুমকির কথা জানিয়েছেন।

শ্রম অধিকার

জানুয়ারিতে, গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা, যাদের অধিকাংশই নারী, নতুন সরকারি ক্ষতিপূরণ কর্মসূচি অনুযায়ী তাদের নিয়োগকর্তারা তাদের মজুরি বৃদ্ধি করতে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিবাদে একটি মহাসড়ক অবরোধ করে, কিন্তু পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সেপ্টেম্বরে, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভরত শ্রমিক এবং পুলিশের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে একজন গার্মেন্টস কর্মী গুলিবিদ্ধ এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। অন্তর্বর্তী সরকার ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা করতে এবং ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয়ের মধ্যে শ্রমিকদের সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন

সেপ্টেম্বরে, এমটি সুবর্ণ স্বরাজ্য তেল ট্যাঙ্কারে একটি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ছয়জন শ্রমিক নিহত হয়, যা শিপিং কোম্পানিগুলির তাদের কর্মীদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে। বাংলাদেশের শিপব্রেকিং শিল্প বিপজ্জনক এবং নিয়ন্ত্রণহীন, কারণ অনেক কোম্পানি আন্তর্জাতিক শ্রম এবং পরিবেশগত বিধিবিধান লঙ্ঘন করার জন্য ফাঁকফোকর ব্যবহার করে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন এবং সুপারিশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং যৌথ দর কষাকষির সুরক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষ এখনও শ্রম আইন সংশোধন করতে পারেনি। কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতাসহ সকল সহিংসতা এবং হয়রানি বন্ধ করার জন্য ব্যাপক সুরক্ষা প্রদানকারীআইএলও-এর ভায়োলেন্স অ্যান্ড হ্যারাসমেন্ট কনভেনশন (C190) কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেনি ।