Skip to main content

বাংলাদেশ: নিরাপত্তা বাহিনী আন্দোলনকারীদের হত্যা করেছিল

বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী, পথচারী, শিশুদের হত্যা করা হয়েছিল, প্রায় ক্ষেত্রেই অত্যধিক বলপ্রয়োগের মাধ্যমে

(নিউ ইয়র্ক) হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আজ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলেছে যে, বাংলাদেশী নিরাপত্তা বাহিনীগুলি রাস্তার প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়ায় বারবার অত্যধিক বলপ্রয়োগ করেছে, যার ফলস্বরূপ 2013 এর ফেব্রম্নয়ারীর পর থেকে কমপক্ষে ১৫০ জন আন্দোলনকারী মারা গিয়েছিলেন এবং আরও অন্ততঃ 2000 জন আহত হয়েছিলেন৷ প্রচুর সংখ্যক আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষগুলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের এর জন্য দায়বদ্ধ করার কোনো অর্থপূর্ণ প্রচেষ্টাও করে নি৷

 

অত্যাচারের শিকার হওয়া মানুষ এবং তাদের পরিবারের লোক, সাক্ষী, মানবাধিকার রক্ষাকারী কর্মী, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সঙ্গে 95টি সাক্ষাত্‍কারের ভিত্তিতে "রাস্তায় রক্ত: বাংলাদেশে আন্দোলনের সময়ে অত্যধিক বলপ্রয়োগ" নামের 48 পাতার এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে৷ এই প্রতিবেদনে একটির পর একটি ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছে যেখানে পুলিশ, আধাসামরিক র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ জনতার উপরে গুলি চালিয়েছিল অথবা নৃশংস ও বেআইনিভাবে আন্দোলনকারীদের মেরেছিল৷ কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীগুলি বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডও ঘটিয়েছিল৷ আন্দোলন চলাকালীন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচকমপক্ষে এক ডজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও পুলিশ অফিসারের হত্যা এবং শাসক দল আওয়ামী লীগের তিনজন সদস্যের হত্যার ঘটনাও লিপিবদ্ধ করেছিল৷

 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর এশিয়া ডাইরেক্টর ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছিলেন, "আগামী দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং যুদ্ধকালীন অপরাধের বিচারের আরও কিছু রায় বেরনোর ফলস্বরূপ রাস্তায় আরো ঘন ঘন বিক্ষোভ প্রদর্শন হওয়া এবং আরও বেশি হিংসা হওয়ার অধিক আশঙ্কা আছে৷" "সরকার যদি না নিরাপত্তা বাহিনীগুলিকে নিরসত্র করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এই বছর শেষ হওয়ার আগে রাস্তায় আরও মানুষের রক্ত ঝরবে৷"

 

যুদ্ধকালীন অপরাধ এবং 1971 সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে অন্যান্য নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করার জন্য গঠিত একটি দেশীয় আদালত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর রায়গুলির প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে ফেব্রম্নয়ারী মাসে বিরাট আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল৷ আদালত জামাত-এ-ইসলামি দলের একজন বরিষ্ঠ সদস্যকে আজীবন কারাবাসের সাজা দেওয়ার পরে প্রচুর সংখ্যক আন্দোলনকারী তার মৃত্যুদন্ডের দাবীতে রাস্তায় নেমেছিলেন৷ জামাত সমর্থকরা পরে ধর্মঘট ডেকেছিল এবং হিংসামূলক কাজে লিপ্ত হয়েছিল, এবং জামাত দলের উপাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে 28 শে ফেব্রম্নয়ারী মৃত্যুদন্ডের সাজা ঘোষণার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল৷ নিরাপত্তা বাহিনী জামাতের এর আন্দোলন ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করার সময়ে ডজনের বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল এবং আনুমানিক কয়েক শত আন্দোলনকারী ও পথচারীকে আহত করেছিল এবং ফেব্রম্নয়ারী ও এপ্রিল মাসের মাঝে আন্দোলনকারীদের ব্যক্তিগতভাবে নিশানা বানিয়েছিল৷

 

মে মাসের 5 ও তারিখে ঢাকায় ইসলামপন্থী হেফাজত-এ-ইসলামির আন্দোলনের দ্বারা একটি বিশাল পদযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের প্রতিক্রিয়ায় আরেক দফা হিংসামূলক কাজকর্ম সংঘটিত হয়েছিল৷ নিরাপত্তা বাহিনীগুলি কয়েক হাজার আন্দোলনকারীর সঙ্গে ম্নুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়েছিল৷ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার জন্য পুলিশের কিছু প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক মানদন্ড মেনে ঘটলেও, অন্যান্য ক্ষেত্রে পুলিশের বলপ্রয়োগ বেআইনি ছিল৷ এর ফলস্বরূপ 50 জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন এবং 2000 এর বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেছিল, তারা বর্ণনা করেছিলেন যে, পুলিশ আটক করা আন্দোলনকারীদের পিটিয়েছিল এবং অন্যদের উপরে কাছ থেকে গুলি চালিয়েছিল ও কাঁদানে গ্যাসের গোলা ফাটিয়েছিল৷ 12 বছর বয়সী এআর হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছিল, "সে আমার বুকের দিকে নিশানা করছিল, কিন্তু ছয়টি ছোট রবারের বুলেট আমার মুখে আঘাত করেছিল৷" "যে লোকটা আমার উপরে গুলি চালিয়েছিল যে আমার থেকে প্রায় 2 মিটার দূরত্বে ছিল৷ আমি তারপরে মরে যাওয়ার ভান করি, আর ওরা অন্য কয়েকটা মৃতদেহের সঙ্গে আমাকেও ফেলে দিয়ে আসে৷"

 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছিল, বাংলাদেশী সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে নিরাপত্তা বাহিনীগুলি অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অত্যধিক বলপ্রয়োগ করা বন্ধ করে৷ শিশু সহ, কয়েক ডজন আন্দোলনকারীর মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য, বাংলাদেশ সরকারের একটি স্বতন্ত্র কমিশন নিয়োগ করা উচিত, এবং বেআইনি হত্যার জন্য দায়ী যে কোনো মানুষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত৷ এছাড়া স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করার জন্য, বাংলাদেশের উচিত জাতি সঙ্ঘের বিশেষ প্রতিনিধিদেরও দেশে আসার অনুমতি দেওয়া৷

 

অ্যাডামস বলেছিলেন, "আইসিটি আরও কিছু মামলার রায় দিতে চলেছে, যার পরিণামে আরও আন্দোলন হওয়া অবশ্যম্ভাবী৷" "এই কারণে সরকারের পক্ষে তার বাহিনীগুলিকে ভিড় নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করা এবং তাদের দায়বদ্ধ করা আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে৷"

 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছিল যে, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খুন হওয়া আন্দোলনকারীদের আত্মীয়স্বজন এবং সাক্ষীদের ভয় দেখানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলি তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ফৌজদারী মামলাগুলিকে কাজে লাগিয়েছে৷ আন্দোলনের পরে পুলিশ কখনও কখনও কয়েক শত, আবার কখনও কয়েক হাজার "অজ্ঞাতপরিচয় আক্রমণকারীদের" বিরুদ্ধে ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করেছিল, যাকে "প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন" বা এফ আই আর বলা হয়৷ তারপরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের বসবাসের এলাকায় প্রবেশ করত এবং অনেক মানুষকে স্বৈরাচারীভাবে গ্রেপ্তার করার যুক্তি হিসাবে এই প্রতিবেদনগুলিকে কাজে লাগাত, আর যাদের জামাত সমর্থক বলে মনে করা হত বিশেষভাবে তাদের গ্রেপ্তার করত৷ এই গ্রেপ্তারের ঘটনাগুলি এই সব এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল এবং অনেককে লুকিয়ে থাকতে বাধ্য করেছিল৷

 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো লিপিবদ্ধ করেছিল যে, আন্দোলনগুলির সম্বন্ধে স্বাধীনভাবে প্রতিবেদন লেখার ক্ষেত্রে প্রচারমাধ্যম ও সুশীল সমাজের স্থানও সঙ্কুচিত হয়েছে৷ সরকার মে মাসের 5 ও 6 তারিখের রাতে বিপক্ষের রাজনৈতিক দলগুলির সমর্থক দুটি টেলিভিশন স্টেশন, ইসলামিক টিভি ও দিগন্ত টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিল এবং তারপর থেকে এগুলি বন্ধই আছে৷ স্টেশনগুলি আন্দোলনস্থল থেকে সরাসরি সম্প্রচার করছিল৷ সরকার বিপক্ষের সংবাদপত্র আমার দেশও বন্ধ করে দিয়েছে এবং তার সম্পাদক মাহমদুর রহমান এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের জেলে পাঠিয়েছে, এছাড়া চারজন ব্লগারকেও কারাবন্দী করেছে যারা তাদের লেখায় নাস্তিক মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন৷

 

অ্যাডামস বলেছিলেন, "এই সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উদার ও গণতান্ত্রিক হওয়ার যে দাবি করেছে, সমালোচনামূলক কন্ঠস্বরগুলির উপরে সেন্সরশিপের কারণে তা দুর্বল হয়েছে"৷ "সরকার হিংসায় প্ররোচনা দেওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ নিতে পারে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে বিরোধী সংবাদমাধ্যমগুলিকে বন্ধ করে দিতে হবে৷"

 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিল যাতে তারা নিরাপত্তা বাহিনীগুলিকে 'আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের দ্বারা বলপ্রয়োগ ও আগ্নেয়াস্ত্র চালনা সংক্রান্ত জাতি সঙ্ঘের মৌলিক নীতিগুলিকে' অনুসরণ করতে প্রকাশ্যে আদেশ দেন, এই নীতিগুলিতে বলা হয়েছে যে নিরাপত্তা বাহিনীগুলি "বলপ্রয়োগ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার আগে অহিংস পদ্ধতি প্রয়োগ করবে" এবং "যেক্ষেত্রে বৈধরূপে বলপ্রয়োগ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা অপরিহার্য হবে, সেখানে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের যা যা করতে হবে: (ক) এগুলি ব্যবহার করার সময়ে সংযম রক্ষা নিতে হবে এবং অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী আনুপাতিক হারে এবং যে বৈধ উদ্দেশ্য অর্জন করা হবে তা অনুসারে পদক্ষেপ নিতে হবে; (খ) ক্ষয়ক্ষতি ও আঘাত ন্যূনতম রাখতে হবে এবং মানুষের জীবনকে সম্মান দিতে হবে ও রক্ষা করতে হবে৷" এই নীতিগুলি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে যখন "প্রাণ রক্ষার জন্য কঠোরভাবে অপরিহার্য হবে" শুধুমাত্র তখনই প্রাণঘাতীভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের ইচ্ছাকৃত ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময়ে মৃত সমস্ত মানুষের মৃত্যুর ঘটনার কার্যকর তদন্ত করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছে৷

 

প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও জামাত-এ-ইসলামি পার্টির মত বিরোধী দলগুলি ছাড়াও হেফাজত এর মত স্বতন্ত্র সংস্থাগুলিকেও পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে তাদের সমর্থকরা বেআইনি আক্রমণ সংঘটিত করার থেকে বিরত থাকে, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা বা ভিন্ন রাজনৈতিক মত পোষণকারী জনগণের উপরে আক্রমণও এর অন্তর্ভুক্ত৷

 

অ্যাডামস বলেছিলেন, "বাংলাদেশের সুনাম ঝুঁকির মুখে পড়েছে, তাই সমস্ত দায়িত্বশীল নেতার উচিত শানত্মি রক্ষা, হিংসা থেকে বিরত থাকা এবং আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পরামর্শ দেওয়া৷"

 

13 বছরের এআর, যে ৬ই মে তারিখে নিরাপত্তা কর্মসূচির সময়ে পুলিশের গুলি খেয়েছিল:

দু'জন লোক আমার ডান হাত চেপে ধরে, আর দু'জন আমার বাঁহাত চেপে ধরে, আর পঞ্চম লোকটা আমার দিকে বন্দুক তাক করে৷ আমি কাঁদতে শুরু করি, কোনো কথাই বলতে পারি নি৷ তারা আমাকে নড়তে বারণ করেছিল, কিন্তু সে গুলি চালানোর সাথে সাথে আমি মাথা ঝোঁকাই৷ সে আমার বুকের দিকে নিশানা করছিল, কিন্তু ছয়টা ছোট রবারের বুলেট আমার মুখে এসে আঘাত করে৷ যে লোকটা আমার উপরে গুলি চালিয়েছিল যে আমার থেকে প্রায় ২ মিটার দূরত্বে ছিল৷ আমি তারপরে মরে যাওয়ার ভান করি, আর ওরা অন্য কয়েকটা মৃতদেহের সঙ্গে আমাকেও ফেলে দিয়ে আসে৷ তারপরে আমি র্যাব-কে আসতে দেখেছিলাম৷ আমি সাহায্য চেয়েছিলাম, তাদের মধ্যে একজন আমাকে একটু পানি দিয়েছিল আর আমাকে দূরে চলে যেতে বলেছিল৷

 

এনইউ একজন দোকান মালিক, যার ভাইপো কঙ্ বাজারে পুলিশের দ্বারা নিহত হয়েছিল:

মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল আর লোকেরা দৌড়োদৌড়ি করছিল৷ সে [সাজাত] পুলিশের মধ্যে দিয়ে দৌড়াচ্ছিল, আর সে ভয় পেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ২য় তলার ছাদে উঠে যায়৷ একজন বা দুজন লোক তার পিছনে দৌড়াচ্ছিল৷ একজন পুলিশ অফিসার তাকে অনুসরণ করছিল; মাত্র একজন অফিসারই ছিল যার হাতে রাইফেল ছিল, বাকিরা সিঁড়ির নিচে ছিল৷ আমি একটা গুলির শব্দ শুনতে পাই আর লক্ষ্য করি যে, অন্য যে লোকগুলি সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠেছিল তারা দৌড়ে পালাচ্ছিল৷ আমি জানতাম না যে, আমার ভাইপোকে গুলি করা হয়েছিল৷ সবাই চলে যাওয়ার পরে আমি সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠিৃআমি ছাদে আমার ভাইপোকে খুঁজে পাই, তার মাথার ডানদিকে গুলি করা হয়েছিলৃআমি একটামাত্র গুলির আওয়াজ শুনেছিলামৃ কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও, প্রচুর রক্ত ছিল, তার মাথার ডানদিকটার কোনো অস্তিত্ব ছিল না, সেটা গুলিতে উড়ে গিয়েছিল৷

 

20 বছর বয়সের একজন সাক্ষী বগুড়ায় 28শে ফেবু্রয়ারী তারিখে একটি আন্দোলনে তার মায়ের হত্যার বর্ণনা দিয়েছিল:

লোকেরা ইঁট ছুঁড়তে শুরু করেছিল আর তারপরে পুলিশ গুলি চালাতে শুরু করে৷ মহিলারা মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন, তারা সবাই প্রতিবাদে পুলিশ স্টেশনের সামনে বসেছিলেন৷ বসে থাকা মহিলাদের মধ্যে আমার মাও ছিলেন...প্রথমে তারা কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে, আর তারপরে গুলি চালাতে শুরু করে৷ সবকিছুই বিশৃঙ্খলাপূর্ণ ছিল, পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছোঁড়ার পরেই সমস্ত লোক বিভিন্ন দিকে দৌড়তে শুরু করেছিল৷ তারা যখন গুলি চালাতে শুরু করে তখন আমরা বিভিন্ন দিকে দৌড়েছিলাম৷

Your tax deductible gift can help stop human rights violations and save lives around the world.

Region / Country